নিউজশর্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal) জনমুখী প্রকল্প নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। বিশেষ করে লক্ষীর ভান্ডার (Lakshmir Bhander) নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। তবে এবার ক্ষমতায় আসার পর আরও বেশ কিছু মানব কল্যাণ মূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। যার মধ্যে একটি শোরগোল ফেলে দিয়েছে গোটা বাংলায়।
ইতিমধ্যেই রাজ্যবাসীর জন্য লক্ষীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রী, শিক্ষাশ্রী, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ, বেকার ভাতা, বার্ধক্য ভাতার মত প্রকল্প চালু করা হয়েছে। তবে এবার বাংলার চাষীভাইদের জন্য ‘কৃষকবন্ধু প্রকল্প’ (Krishak Bandhu Prokolpo) চালু হয়েছে। যার ফলে বহু কৃষক (Farmers) উপকৃত হবেন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষকবন্ধু প্রকল্প
যেমনটা জানা যাচ্ছে এই প্রকল্পের আওতায় যারা নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন জুন মাসের শেষেই তাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো হবে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ লক্ষেরও বেশি চাষীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। তবে সকলে সমান অর্থ পাবে না, ৪,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত ঢুকবে।
আরও পড়ুনঃ টাকা আপনার ডাবল করার দায়িত্ব সরকারের! পোস্ট অফিসের এই স্কিম সম্পর্কে না জানলে বিশাল লস
টাকার অঙ্ক নির্ভর করবে জমির পরিমাণের উপর। এক একরের কম জমি হলে বছরে দুই কিস্তিতে ৪,০০০ টাকা ও এক একরের বেশি জমি থাকলে একইভাবে বছরে ১০,০০০ টাকা দেওয়া হবে। এখানেই শেষ নয়, এই প্রকল্পের আওতায় থাকা কৃষকদের বিনামূল্যে ২,০০,০০০ টাকার বীমার সুবিধা মিলবে। যার ফলে কোনো কারণে যদি উক্ত কৃষক ১৮-৬০ বছর বয়সের মারা যান তাহলে তাকে পরিবারকে এককালীন ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।
কিভাবে কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করবেন?
আপনার যদি চাষ যোগ্য জমি থাকে। তাহলে আপনিও এই প্রকল্পের জন্য অ্যাপ্লাই করতে পারেন। সেক্ষেত্রে নিকটবর্তী সরকারি দফতরে যোগাযোগ করতে হবে। বা অনলাইনেও এই ফর্ম ফিলাপ করা যাবে। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (https://krishakbandhu.net) এ গিয়ে চালু মোবাইল নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারবেন। এতে করে আপনার কবে থাকা ঢুকবে বা টাকা ঢুকেছে কি না চেক করে নেওয়া যাবে।