নিউজশর্ট ডেস্কঃ কথায় বলে, জলই জীবন। তবে জল শুধু জীবন দান করে তা নয়, একই সঙ্গে সংসারে লক্ষ্মীলাভও ঘটায়। বেকারদের হাতে এই জল এনে দিতে পারে মোটা টাকা। সামান্য কিছু অর্থ বিনিয়োগ করেই শুরু করা যায় জলের ব্যবসা (Water Business)। কারণ বর্তমানে যুগে দাঁড়িয়ে বিশুদ্ধ জলের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। দূষণ এতটাই বেড়েছে যে, অল্প জল খেলেও মারাত্মক রোগ হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে সকলেই বিশুদ্ধ জল খেতে আগ্রহী। একটি পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে বোতলজাত জলের ব্যবসা বার্ষিক ২০ শতাংশ হারে বাড়ছে। জলের ব্যবসার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় 1 লিটারের বোতল। মোট বিক্রির মধ্যে 1 লিটার জলের বোতলের বাজারই ৭৫ শতাংশ। খুব অল্প বিনিয়োগে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারা যায় এই ব্যবসার মাধ্যমে। এর জন্য কি কি করতে হবে? কিভাবে এগোতে হবে? তার একটা বিস্তারিত ধারণা আজকের প্রতিবেদনে জানানো হল।
জলের ব্যবসার শুরুর জন্য কি দরকার?
ওয়াটার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য আপনাকে এমন জায়গা বেছে নিতে হবে। যেখানে টিডিএস লেভেল বেশি নয়। এরপর প্রশাসনের কাছ থেকে লাইসেন্স ও আইএসআই নম্বর নিতে হবে। অনেক কোম্পানি বাণিজ্যিকভাবে আরও প্ল্যান্ট তৈরি করছে। যার দাম ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
এর সঙ্গে আপনাকে কমপক্ষে ১০০ জার কিনতে হবে। এসবের দাম পড়বে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আপনি যদি প্রতি ঘন্টায় ১০০০ লিটার জল উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন এমন একটি প্ল্যান্ট স্থাপন করেন, তবে আপনি সহজেই প্রতি মাসে কমপক্ষে ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ বাড়িকে বানান ATM, এই ব্যবসা একবার শুরু করলে প্রতিমাসেই আয় হতে পারে ৫০,০০০ টাকা!
মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমে একটি কোম্পানি গঠন করুন। এই কোম্পানির সঠিক রেজিস্ট্রেশন করান। কোম্পানির প্যান নম্বর এবং জিএসটি নম্বরের মতো কাজগুলিরও সেরে ফেলতে হবে। বোরিং, RO এবং চিলার মেশিন এবং ক্যান ইত্যাদি রাখার জন্য ১০০০ থেকে ১.৫০০ বর্গফুট জায়গা থাকতে হবে যাতে জল সংরক্ষণের জন্য ট্যাঙ্ক তৈরি করা যায়। এই জল ডেলিভারি করে আরও টাকা আয় করা যায়।
কিভাবে ব্যবসা থেকে লাভ করবেন?
বর্তমানে অনেকেই জলের ব্যবসা করছে । জলের মান ও ডেলিভারি যদি ভালো করে দিতে পারেন, সেক্ষেত্রে মোটা টাকা উপার্জন করা যেতে পারে। জলের ব্যবসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল জল সরবরাহ করা। নিয়মিত জল সরবরাহ করা আবশ্যিক। এছাড়াও জার ভেঙে গেলে বা নষ্ট হলে আপনার ব্যবসার ক্ষতি হতে পারে।
যদি ১৫০ জন নিয়মিত গ্রাহক আপনার থাকে, এবং প্রতিদিন প্রতি জন প্রতি একটি কন্টেইনার যদি সরবরাহ করতে পারেন, তবে আপনার লাভ হবে ভালোই। ২০ লিটারের জলের জার সহজেই ৩০ টাকা করে বিক্রি করা যায়। কিন্তু এগুলোতে প্রায় ৫০ শতাংশ লাভ থাকে। অর্থাৎ প্রতি জারে ১৫ টাকা করে লাভ হলে, প্রতি দিন আপনার লাভ হবে ২২৫০ টাকা। যা মাসের শেষে গিয়ে দাঁড়াবে ৬৭,৫০০ টাকায়। ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, ডিজেল ও অন্য খরচ হিসেবে ৩০ হাজার টাকা খরচ হলেও আপনার মাসে ৩০,০০০ টাকার বেশি লাভ থাকবে।