নিউজশর্ট ডেস্কঃ ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় (Savings) করতে সকলেই চায়। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতির কারণে রুটি-রুজি জোগাড় করার পর সঞ্চয় করার কথা আর ভেবেই উথতে পারেন না মধ্যবিত্তরা। বছর শেষে সঞ্চয়ের ভাণ্ডার আর পূরণ। তবে এবার সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করে পোস্ট অফিস নিয়ে এল এক অসাধারন স্কিম (Post Office Savings Scheme)।
পোস্ট অফিসে এই স্কিমের নাম হল ‘কিষাণ বিকাশ পত্র’ স্কিম। ১৯৮৮ সালে এই প্রকল্পটি শুরু করা হয়েছিল। আর্থিক সঞ্চয়কে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকার দীর্ঘমেয়াদি এই প্রকল্প চালু করে। প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পটি শুধুমাত্র কৃষকদের জন্য চালু করা হয়েছিল। কিন্তু এখন যে কোন ভারতীয় নাগরিক এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারে। তবে কিভাবে বিনিয়োগ করবেন? তাই বিস্তারিত জানাবো এই প্রতিবেদনে।
‘কিষান বিকাশ পত্র’ স্কিম
‘কিষান বিকাশ পত্র’ (Kisan Vikas Patra) স্কিমে গ্রাহকরা মাত্র ১০০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করতে পারবেন। এখানে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের কোনো সীমা নেই। কোন গ্রাহক যদি এই স্কিমে ৫০,০০০ টাকার বেশি বিনিয়োগ করেন তাহলে তাদের জন্য প্যান কার্ড প্রদান করা বাধ্যতামূলক থাকবে। তবে ৫০০০০ টাকার বেশি বিনিয়োগে প্যান কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোনো গ্রাহক যদি ১০ লক্ষ টাকা কিংবা তার বেশি বিনিয়োগ করতে চাই সেক্ষেত্রে পোস্ট অফিসে সেই বিনিয়োগকারীকে তার বেতন স্লিপ, আইটিআর, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট এবং আধার নম্বরের মতো কিছু নথি জমা দিতে হতে পারে।
তবে ‘কিষান বিকাশ পত্র স্কিমে’ বর্তমানে ৭.৫% হারে সুদ দেওয়া হয়। কিষান বিকাশ পত্র স্কিম ১১৫ মাসে অর্থাৎ ৯ বছর ৭ মাসে গ্রাহকদের বিনিয়োগ দ্বিগুণ করার গ্যারান্টি দেয়। কোনো গ্রাহক যদি কিষান বিকাশ পত্র স্কিমে ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে ১১৫ মাস পরে অর্থাৎ ম্যাচুরিটি সময় গ্রাহক ১০ লক্ষ টাকা রিটার্ন হিসাবে পেয়ে যাবেন।‘কিষান বিকাশ পত্র’ স্কিমে টাকা বিনিয়োগ করার তারিখ থেকে ২ বছর ৬ মাস পরে অকাল প্রত্যাহার করা যেতে পারে। এছাড়া কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে যে কোনও সময় প্রি-ম্যাচিওর ডিপোজিট করা যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ সপ্তাহে মাত্র ৫ দিন খুলবে ব্যাঙ্ক, শনি রবি পুরোপুরি বন্ধ! নতুন নিয়ম শুনেই মাথায় হাত গ্রাহকদের
Kisan Vikas Patra স্কিমে কিভাবে আবেদন করবেন?
১৮ বছরের বেশি যে কোন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি এই স্কিমের অধীনে একক কিংবা যৌথ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। এছাড়া ১০ বছরের বেশি কোন শিশুর নামে তার পিতা-মাতা ‘কিষাণ বিকাশ পত্র’ স্কিমের সুবিধা নিতে পারবেন। এই স্কিমে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আধার কার্ড, বয়সের শংসাপত্র, পাসপোর্ট আকারের ছবি, কেভিপি আবেদনপত্র ইত্যাদি নথি প্রয়োজন হতে পারে।