Bangla Shasya Bima all details how to apply and last date

কৃষকদের জন্য সুখবর! ফ্রিতেই মিলবে বাংলা শস্য বিমা, দেখুন আবেদনের পদ্ধতি

নিউজশর্ট ডেস্কঃ বাংলার কৃষকদের জন্য একাধিক আর্থিক সাহায্যের প্রকল্প রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government Of West Bengal)। এমনকি ফসলের ফলন খারাপ হলেও যেন চাষিভাইদের ক্ষতি না হয় তার জন্য বাংলা শস্য বীমা যোজনা (Bangla Shasya Bima Yojana) চালু করা হয়েছে। যেটা কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠিয়ে দেয়। কিভাবে আবেদন করতে হবে? কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হল আজকের প্রতিবেদনে।

বাংলার শস্য বীমা (Bangla Shasya Bima)

ঠিক যেমন জীবন বীমা কাজ করে তেমনি কৃষকদের ফসলের জন্য বীমা করা হয়। যাতে প্রাকৃতিক বা অপ্রাকৃতিক কোনো কারণে ফসলের ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ হিসাবে টাকা পাওয়া যায়। এর জন্য বাজাজ অ্যালিয়ান্স জেনারেল ইন্সুরেন্স ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার যৌথভাবে উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই খরিফ শস্যের জন্য প্রযুক্তি নির্ভর বীমার কাজ চলছে।

করা এই বীমার জন্য আবেদন করতে পারবেন?

বর্তমানে ধান ও ভুট্টাকে খরিফ সিজেনে বীমার সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তাই যারা নির্দিষ্ট অঞ্চলে এই শস্যের চাষ করবেন তারাই বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন।

কিভাবে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়?

এই বীমার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধাপে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়। সেগুলির সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত জানানো হলঃ

রোপনের সময়ঃ যদি আবহাওয়া জনিত কারণে বা খরার জন্য ৫০% এর বেশি জায়গায় রোপন করা সম্ভব না হয় তাহলে বীমার সর্বাধিক রাশির ২৫% ক্ষতিপূরণ হিসাবে পাওয়া যাবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে বীমার সুবিধা তখনই শেষ বলে গণ্য করা হবে।

অন্তর্বর্তী ক্ষতিপূরণ : বীজ বপনের পর যদি কোথাও ৫০% এর বেশি শস্যের ক্ষতি হয় তাহলে বীমার সর্বোচ্চ যে রাশি তার ৫০% টাকা দিয়ে বীমা শেষ হয়ে যাবে।

স্থানীয় বিপর্যয় : ফসলের ফলনের সময়ের মাঝে যদি কখনো শিলাবৃষ্টি, বন্যা বা ভূমিধসের কারণে ক্ষতি হয় সেক্ষেত্রেও ক্ষতিপ্রণ দেওয়া হয়। এছাড়াও ফসল কাটার ১৪ দিনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় বা অকাল বর্ষার সময় শুকনোর জন্য বা ধরিয়ে যাওয়া ধানের জন্যও ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে।

ফলনের শেষে ক্ষতিপূরণ : মরশুমের শেষে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে রিমোট সেন্সিং ও স্যাটেলাইট ইমেজিংয়ের মাধ্যমে ক্ষতি নির্ধারণ করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।

বীমার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন?

বাংলার শস্য বীমা করার জন্য গ্রামে বিশেষ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়ে থাকে। সেখানে গিয়ে আবেদন করতে পারেন। এছাড়াও নিকটবর্তী কৃষি অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করলে সেখান থেকেও আবেদন করা যেতে পারে।

অবদানের সময় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

  • আধার কার্ড
  • ভোটার কার্ড
  • জমির খতিয়ান বা পরচা বা বা পাট্টা যেকোনো একটি
  • যদি জমি নিজের নামে না হয় তাহলে চাষের জমির আয়োজন ও চাষের শংসাপত্র
  • ব্যাঙ্কের পাশ বই
  • ফসল রোপনের শংসাপত্র যেটা সংশ্লিষ্ট ব্লক, কৃষি আধিকারিক বা তার অনুমোদন প্রাপ্ত কোনো প্রতিনিধি বা রেভেনিউ অফিসার, ভূমি ও ভূমি সংস্কার ও উদ্বাস্তু ত্রাণ পনোর্বাসন দফতরের থেকে পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুনঃ কবে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে মোবাইল কেনার টাকা? দেখুন ‘তরুণের স্বপ্ন’ স্কিমের লেটেস্ট আপডেট

আবেদনের খরচ ও লাস্ট ডেট

এই বীমার জন্য কৃষকদের কোনো টাকা দিতে লাগে না। বীমার জন্য যা টাকা লাগে তার সবটাই সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হয়।

বাংলা শস্য বীমার জন্য অবদান ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। যদি ধান ক্ষেতের আবেদন করেন তাহলে তার শেষ তারিখ ১৫ই সেপ্টেম্বর। আর যদি ভুট্টা ক্ষেতের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে তার লাস্ট ডেট ৩১ শে অগাস্ট।

Partha Sarathi Manna

Partha Sarathi Manna

Partha Sarathi Manna is a Science graduate from the University of Calcutta with an advanced multimedia degree from Ramakrishna Mission. He has over four years of journalism experience, specializing in entertainment, lifestyle, technology, and travel. In his free time, he enjoys watching movies and web series and exploring new places. Contact: [email protected].

X