পার্থ মান্নাঃ গতকাল সকাল থেকেই আতঙ্ক ভার করেছিল সকলের মনে। বিশেষ করে উপকূলের মানুষদের চিন্তা ছিল বেশি। কারণ দানার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূলের জেলাগুলিই। তবে দানার প্রভাব কেটে গিয়েছে বলা যেতেই পারে। কারণ দক্ষিণবঙ্গের বৃষ্টির পরিমান বেশ কিছুটা কমেছে। জানা যাচ্ছে বর্তমান দানা তার শক্তি হারিয়ে ক্রমশ উত্তর-পশ্চিমে এগোচ্ছে। যদিও আগামী ৬ ঘন্টার মধ্যেই দানার শক্তি সম্পূর্ণ হারিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শক্তি হারাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় দানা : আবহাওয়া দফতর
শেষ পাওয়া আবহাওয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী শুক্রবার ল্যান্ডফল হওয়ার পর থেকে অনেকটাই শক্তি হারিয়েছে দানা। তবে আজ অর্থাৎ শনিবারে দক্ষিণবঙ্গ তথা ওড়িশার কয়েকটি জেলায় নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি হবে। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম জেলায় বৃষ্টির আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া জেলাতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কেমন থাকবে আগামীকালের আবহাওয়া?
আগামীকাল অর্থাৎ ২৭শে অক্টোবর রবিবার দক্ষিণের বেশ কিছু জেলায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। কলকাতার আকাশ মূলত মেঘাছন্ন থাকবে বলেই মনে করে হচ্ছে। এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলায় মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে। বাকি জেলায় সেভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আগামী কয়েকদিন কলকাতা ও আশেপাশের জেলার তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উত্তরবঙ্গের আগামীকালের আবহাওয়া
দক্ষিণে দানার জেরে ঝোড়ো হাওয়া ও সাথে ভারী বৃষ্টি হলেও উত্তরের পরিস্থিতি বেশ ভালো ছিল। বিগত কয়েক দিনে উৎরে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল খুবই কম। ঘূর্ণিঝড়ের কোনো প্রভাবই উত্তরের জেলাগুলিতে পড়েনি বলা যেতেই পারে। তবে আগামী কয়েকদিন দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পঙ থেকে আলিপুরদুয়ার জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রপাত সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে বলেই জানা যাচ্ছে। যদিও আলাদা করে কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি।