পার্থ মান্নাঃ প্রতিবছর স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে ট্যাব বা স্মার্টফোন কেনার টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। এবছরেও তার ব্যতিক্রম হওয়ার কথা ছিল না। পুজোর আগে থেকেই নবান্নের তরফ থেকে ট্যাবের টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণাও হয়ে গিয়েছিল। সকল ছাত্রছাত্রীরাও অপেক্ষায় ছিলেন কবে ১০,০০০ টাকা ঢুকবে আর পছন্দের ট্যাব বা স্মার্টফোন কিনতে পারবে। কিন্তু এবার জানা যাচ্ছে যে সরকরি পোর্টাল থেকে টাকা দেওয়ার কথা সেটাই হ্যাক হয়ে গিয়েছে। হ্যাঁ ঠিকই দেখছেন, সরকারি পোর্টাল হ্যাক হয়ে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা খোয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
বাংলার শিক্ষা ওয়েবসাইট হ্যাকড!
সম্প্রতি জানা যাচ্ছে, বাংলার শিক্ষা পোর্টাল হ্যাক করা হয়েছে। যার ফলে প্রায় ৭০ জন পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট নাম্বার বদলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ১০ হাজার টাকা করে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা চলে গিয়েছে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে। স্বাভাবিকভাবেই এই খবরে চিন্তিত শিক্ষা ভবন।
সূত্রমতে পূর্ব মেদিনীপুরে মোট ৭৮,০০০ শিক্ষার্থীদের টাকা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে ৪টি স্কুল থেকে ৭০ জনের অভিযোগ তাঁরা টাকা পায়নি। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষই জানায় টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়ে গেছে। যেটা জানার পরেই শুরু হয়েছে তদন্ত, তখনই গোটা ব্যাপারটা সামনে আসে।
শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য
মোট চারটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সাথে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা সামনে আসার পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানাচ্ছেন, ‘কিছু বহিরাগত অ্যাকাউন্ট নাম্বার তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। সেগুলো ব্লক করা হয়েছে, তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এছাড়া পূর্ব মেদিনীপুর জেলার স্কুল পরিদর্শক শুভাশীষ মিত্র জানাচ্ছেন , ‘৪টি স্কুলের বেশ কিছু পড়ুয়ারা তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের টাকা পাইনি। ইতিমধ্যেই বিষয়টা রাজ্যের নজরে আনা হয়েছে।
তবে এই ঘটনায় সবার আগে যে প্রশ্ন উঠছে সেটা হল কিভাবে হ্যাকাররা এই সাইটের অ্যাকসেস পেল। সরকারি পোর্টালের সিকিউরিটি ঠিক কেমন ছিল সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এদিকে বিদ্যালয়ের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, যারা অ্যাকাউন্ট নাম্বার আপলোডক করেছেন তাদের পক্ষে সবার নাম ও অ্যাকাউন্ট নাম্বার মেলানো সম্ভব ছিল না। কিন্তু এখন টাকা না ঢোকায় তারাই বিপদে পড়ে গিয়েছেন। পড়ুয়ারা স্কুলে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেছে।