পার্থ মান্নাঃ অরিজিৎ সিং, নামটাই যথেষ্ট মানুষটাকে চেনার জন্য। একদিকে যেমন নিজের মোহময়ী গানের গলা দিয়ে ভারত তথা বিশ্ব জয় করেছেন। তেমনি সেলিব্রিটি হয়েও মাটির মানুষের মত তাঁর ব্যবহার দেখে কুর্নিশ জানায় বাচ্চা থেকে বড় সকলেই। প্রচারের আলোয় কখনোই আসতে ভালোবাসেন না তিনি। বরং নিঃশব্দে নিজের কাজ টুকু করে যান। অনেকেই জানেন না গতবছরই নিজের গ্রাম জিয়াগঞ্জে মায়ের নামে অদিতি ইনস্টিটিউট অফ স্পোর্টস বানিয়েছেন তিনি। যেখানে চলছে তারকা ফুটবল প্লেয়ার গোড়ার কাজ।
জিয়াগঞ্জ মায়ের নামে অদিতি ইনস্টিটিউট অফ স্পোর্টস বানিয়েছেন অরিজিৎ
এখনও পর্যন্ত ফুটবল অ্যাকাডেমিটি আবাসিক করে তোলা সম্ভব হয়নি। হাজার ব্যস্ততার মাঝে গ্রামে এসে ফাঁক পেলেই অ্যাকাডেমির ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দিতে চলে আসেন অরিজিৎ সিং। জানা যাচ্ছে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের রাজা বিজয় সিং বিদ্যামন্দির কলেজের মাঠ লিজ নেওয়া হয়েছে ফুটবল ও ক্রিকেটের ম্যাথ তৈরির জন্য। ফুটবল অ্যাকাডেমির দায়িত্ব রয়েছে প্রাক্তন গোলকিপার তনুময় বসুর উপরে, সাথে প্রশিক্ষণের জন্য রয়েছেন ৬ কোচ।
USA থেকে আনালেন বল-লঞ্চার মেশিন
ইতিমধ্যেই ১০০ জন ফুটবল প্রাকটিস করে অরিজিতের তৈরী ফুটবল অ্যাকাডেমিতে। সপ্তাহে চারদিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এবার জানা যাচ্ছে ফুটবল অ্যাকাডেমির জন্য ৫ লক্ষ টাকা খরচ করে USA থেকে বল-লঞ্চার মেশিন আনিয়েছেন অরিজিৎ সিং। এই প্রসঙ্গে তনুময়বাবু জানান, বাংলায় বোধয় আমরাই প্রথম অ্যাকাডেমি যেখানে বল-লঞ্চার দিয়ে প্রাকটিস করানো হবে। ইন্ডিয়ান অ্যারোজ়ের কোচ থাকাকালীন জার্মানি থেকে এই ধরণের মেশিন আনিয়েছিলাম। তবে এই মেসি আরও অনেক উন্নত।
কি কাজ করে বল-লঞ্চার?
এই মেশিনের মধ্যে বল ঢুকিয়ে দিয়ে সেটাকে রেগুলেটরের মাধ্যমে কম বেশি স্পিডে ছোড়া বা সোয়ার্ভ করা যায়। এই মেশিনের সাহায্যে গোল কিপিং প্রাকটিস করা বেশ সুবিধাজনক বলে মনে করা হয়।
প্রসঙ্গত, এখনও দুবছর হয়নি ফুটবল অ্যাকাডেমি চালু হওয়ার পর তার আগেই বেশ কিছু প্রতিভাবান ছেলেমেয়েদের তৈরী কড়া হয়ে গিয়েছে। তনুময় বসু জানান, ‘৬ জন বাচ্চাকে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট টিমের Under 13 ও Under 15 প্রাকটিসের জন্য পাঠানো হয়েছে। তাদের সমস্ত খরচ অরিজিৎ নিজেই করছেন। এছাড়া AIFF এর কাছে আবেদন করা হয়েছে জাতীয় যুব ফুটবল লিগে মুর্শিদাবাদ ডিমকে নেওয়ার জন্য’।