পার্থ মান্নাঃ গরিব মানুষ অসুস্থ হলে সরকারি হাসপাতালই ভরসা। কিন্তু মুশকিল হল অনেক সময়েই দেখ যায় রুগী নিয়ে হাসপাতালে গেলেও বেড ফাঁকা না থাকায় এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটতে হত। তাছাড়া ডাক্তারের অন্য হাসপাতালে রেফার করলেও সেখানে বেড ফাঁকা আছে কি না সেটা আগে থেকে জানা যেত না। এই সমস্যার সমাধানেই চালু করা কথা ছিল ‘রেফারেন্স সিস্টেম’।
কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে চালু হচ্ছে রেফারেন্স সিস্টেম
জানা যাচ্ছে আজ অর্থাৎ ১ লা নভেম্বর থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে রেফারেন্স সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। যার দ্বারা কোন হাসপাতালে কটি বেড ফাঁকা রয়েছে সেটা আগে থেকেই জানা যাবে। এমনিতে এমার্জেন্সি ওয়ার্ডের বাইরে কোন হাসপাতালে কত বেড খালি সেটা দেখা যায়। কিন্তু কোনো কারণে সেটা ভেঙে দিলে বা খুলে নিয়ে গেলেই সমস্যা হতে পারে। তাই এখনই সমস্ত ডিসপ্লে বোর্ড কোথায় লাগানো থাকবে সেটা জানানো হচ্ছে না।
কিছুদিন আগেই ষষ্ঠদশ অর্থ কমিশনের স্বাস্থ্য খাতের আর্থিক অনুদান পাওয়ার জন্য ন্যাশনাল হেলথ মিশনের তরফে জেলাশাসকের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বাজেট তৈরির আদেশ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। এরই মধ্যে অন্যতম একটি হল রেফারেন্স সিস্টেম। এটি আপাতত পরীক্ষামূলকভাবেই চালু করা হচ্ছে। সফল হলে আগামীদিনে সমস্ত হাসপাতালেই হয়তো এই সিস্টেম চালু করা হতে পারে।
চিকিৎসকদের জন্য আলাদা কনসালটেশন রুম থেকে শুরু করে রেস্ট রুম, অপারেশন থিয়েটার, লিফ্ট, শৌচালয় ইত্যাদি তৈরী করতে হবে। এছাড়া সিনিয়ার সিটিজেন ও প্রতিবন্ধীদের জন্য র্যাম্পের ব্যবস্থা করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। তাছাড়া ২৪ ঘন্টা চিকিৎসা দেওয়ার সুবাদে স্বাস্থ্য সহায়ক কর্মীদের জন্য কোয়াটার তৈরী করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। এর অন্য কতটাকা বাজেট লাগবে সেটাও জমা করতে বলা হয়েছে।