পার্থ মান্নাঃ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য ট্যাব বা স্মার্টফোন কেনার জন্য টাকা দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের দৌলতে এবছরেও সেই টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে হয়েছিল। কিন্তু শুরু থেকেই একাধিক সমস্যা দেখে দিয়েছে। প্রথমে অভিযোগ উঠেছিল একাধিক ভুল অ্যাকাউন্ট নাম্বার পোর্টালে আপলোড হয়েছিল যেগুলো ঠিক করার জন্য বেশ কিছুটা সময় দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে টাকা পাঠাতেও বেশ কিছুটা দেরি হয়। আর শেষমেশ কিছুদিন আগে জানা যায় সরকারি পোর্টাল হ্যাক হয়ে ৭০ জন ছাত্রছাত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নাম্বার বদলে গিয়েছে যার ফলে ৭ লক্ষ টাকা হ্যাকারদের কাছে চলে গিয়েছে।
তরুণের স্বপ্ন প্রকল্প নিয়ে একাধিক অভিযোগ
কিছুদিন আগেই জানা যায় তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে। যার ফলে ছাত্রছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নাম্বার পাল্টে গিয়েছে। যদিও শিক্ষা দফতর একথা মানতে অস্বীকার করেছে। শিক্ষা দফতরের এই কর্তার মতে, যে সমস্ত শিক্ষকদের পোর্টালে তথ্য আপলোডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁদেরই ভুলের কারণে এমনটা হয়েছিল। এটা না হলে কেউ হয়ত ও সবজেনেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নাম্বার ভুল দিয়েছিল। যার জেরে ইতিমধ্যেই FIR পর্যন্ত দায়ের হয়ে গিয়েছে।
একইসাথে জানা যাচ্ছে ভুল অ্যাকাউন্টে পাঠানো টাকা উদ্ধার করে যে ৭০ জন পড়ুয়ার টাকা পাওয়ার কথা তাদের কাছেই ফেরত দেওয়া হবে। তবে এসবের মাঝেই গোটা বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের অনেকেই। পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্র জানান, ‘শিক্ষার্থীদের থেকে হ্যাক হওয়া টাকা তো প্রধান শিক্ষকদের অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে না তাহলে তাঁদের কেন দোষী বলা হচ্ছে’! তো আবার কেউ জানাচ্ছে টাকা দেওয়ার বদলে সরাসরি ট্যাব কিনে দিয়ে দিলেই মিটে যায়।
টাকা নয় এবার সোজা ট্যাব দেবে সরকার
বাঙুরের নারায়ণ দাস মেমোরিয়াল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া জানান, শুধু হ্যাক হওয়ার অভিযোগ নয়, ‘ট্যাব কেনার টাকা অন্য কাজে ব্যবহার হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। তাই অ্যাকাউন্টে টাকা না দিয়ে সোজা ট্যাব কিনে দেওয়া হলেই এই ধরণের সমস্যা আর থাকে না।’
এই প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, ‘ট্যাব কিনে দেওয়া হবে কি না সেই ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে আগে সবটা খতিয়ে দেখা হবে তারপর ট্যাব কিনে দেওয়া হবে কি না সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।