পার্থ মান্নাঃ বাঙালির কাছে পাহাড় ভ্রমণ মানেই দার্জিলিং। আর দাজিলিং ঘোরা একপ্রকার অসম্পূর্ন টয় ট্রেন রাইড ছাড়া। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের মর্যাদাও পেয়েছে দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন। তবে এবছর বৃষ্টির ফলে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের এই টয় ট্রেন লাইন বেশ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যার জেরে সম্পূর্ণ লাইন চালু নেই, আংশিকভাবে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা হারানোর আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে।
ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন
১৯৯৯ সালের ডিসেম্বর মাসে হেরিটেজের মর্যাদা পেয়েছিল দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন পরিষেবা। এরপর থেকে ১৪৫ বছরে একাধিক বিতর্ক থেকে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে পরিষেবা। এমনকি রক্ষনাবেক্ষনের অভাব রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার।
পুজোয় রেকর্ড আয়
পুজোর ছুটিতে অনেকেই উত্তরবঙ্গ ভ্রমণে গিয়েছিলেন। যার জেরে ২৫ শে অক্টোবর থেকে ৪ঠা নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৬৯ লক্ষ ২৪ হাজার ৫০০ টাকা আয় হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের তরফ থেকে। বোঝাই যাচ্ছে পর্যটকদের মধ্যে টয় ট্রেনে ছাপার উম্মাদনা আজও বজায় রয়েছে। তবে সম্পূর্ণ সার্ভিস চালু না থাকায় একদিকে যেমন পর্যটকেরা হতাশ তেমনি অনেকটাই আয়ও কমেছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত লাইন
এবছর তুমুল বৃষ্টির জেরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং টয় ট্রেন লাইনের। ইতিমধ্যেই লাইন মেরামতের কাজও শুরু করা হয়েছে। তবে সম্পূর্ণ ট্র্যাক কবে থেকে চালু করা যাবে সেই সম্পর্কে কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের কর্মকর্তাদের মতে, যতটা দ্রুত সম্ভব পরিষেবা চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভুগছে টয় ট্রেন
১৪৫ বছর পুরোনো এই জয় রাইডের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একাধিকবার স্ট্রাক্ট জারি করা হয়েছিল। কারণ সেটা না করা হলে হেরিটেজ তকমা খোয়াতে পরে টয় ট্রেন। ইউনেস্কোর মতে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের কোনো তথ্যই দেওয়া হয়নি। তাই এবার একটি প্রতিনিধি দল হাজির হয়েছে সবটা খতিয়ে দেখার জন্য। যেকারণে রীতিমত চাপে পড়ে গিয়েছে প্রশাসন।