শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বেড়েই চলেছে রান্নার গ্যাসের। চিন্তায় ঘুম উড়েছে সাধারণ মানুষের। বিধানসভা নির্বাচনের আগে মানুষ ভেবেছিল দাম আরও কমে যাবে। কিন্তু হচ্ছে ঠিক তার উল্টো। রান্নার কাজে ব্যবহৃত এলপিজি (Liquefied petroleum gas) এর দাম ফের বেড়েছে। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১৯ টাকা বাড়িয়ে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে। অতএব সেই দাম এখন দাঁড়িয়েছে ১,৪৭৮ টাকায়।
অটোগ্যাস এবং অন্যান্য এলপিজি সিলিন্ডারের দামও বৃদ্ধি
১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি অটোগ্যাসের (মোটরযানে ব্যবহৃত এলপিজি) দামও বেড়েছে। অটোগ্যাসের নতুন দাম ০.৮৯ টাকা বৃদ্ধির পর এখন প্রতি লিটার ৬৭.৭৪ টাকা।
বিইআরসি আরও ঘোষণা করেছে যে ৫.৫ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত অন্যান্য আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নতুন দাম কাঠামো অনুসারে বৃদ্ধি পাবে।
দাম বৃদ্ধির কারণ কী?
দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণগুলি হল:
আন্তর্জাতিক এলপিজির দাম বৃদ্ধি: এলপিজির বিশ্বব্যাপী দাম বেড়েই চলেছে। এলপিজি আমদানির গড় মূল্য প্রতি টন ১০ ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।
টাকার অবমূল্যায়ন: মার্কিন ডলারের বিপরীতে এই দেশের টাকার মূল্যও অনেক হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে আমদানি আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে, বিইআরসি সৌদি আরবের এলপিজির দামের উপর ভিত্তি করে প্রতি মাসে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে। তবে, গ্রাহকরা প্রায়শই অভিযোগ করেছেন যে এলপিজির প্রকৃত বাজার মূল্য বিইআরসি কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি।
আবার ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম স্থানীয় বাজারে সর্বকালের সর্বোচ্চ ১,৪৯৮ টাকায় পৌঁছেছিল। তার পর থেকে দাম এখন কিছুটা কমেছে ঠিকই, কিন্তু মুদ্রাস্ফীতির কারণে তাও চিন্তা যাচ্ছে না।
গ্রাহকদের উপর প্রভাব
এলপিজি এবং অটোগ্যাসের এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে রান্না এবং যানবাহন চালানোর জন্য এলপিজির উপর নির্ভরশীল অনেক পরিবার এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল এবং অকটেন সহ জ্বালানির দাম ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে গ্রাহকরা তাঁদের দৈনন্দিন খরচের উপর চাপ অনুভব করছেন। আপাতত, এই মূল্যবৃদ্ধি ২রা ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর করা হয়েছে বাংলাদেশে। তাই এলপিজি সিলিন্ডারের বর্ধিত দাম নিয়ে আপাতত ভারতীয়রা নিরাপদ।