শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: চিকেন (Chicken) প্রেমীদের জন্য বড় খবর। মুরগির মাংসে রহস্যময় ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যজুড়ে। ইতিমধ্যেই বিপুল সংখ্যক মুরগির মৃত্যু এবং ডিম উৎপাদনে তীব্র হ্রাসের কারণে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। এই ভাইরাস বেশ কয়েকটি রাজ্যের, বিশেষ করে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র এবং ছত্তিশগড়ে, পোল্ট্রি খামারগুলিকে প্রভাবিত করেছে।
মুরগি খাওয়া নিয়ে উদ্বেগ
ভাইরাসটি মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে, বিশেষ করে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায়, যেখানে প্রচুর পরিমাণে মুরগির মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। যদিও মুরগির দাম কমে গিয়েছে, তবুও প্রাদুর্ভাবের কারণে অনেকেই মুরগির মাংস খেতে দ্বিধা করছেন। ভাইরাসটি অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে, যা পোল্ট্রি শিল্পের উপর এর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ভাইরাসের প্রতি সরকারের প্রতিক্রিয়া
পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ায়, কেন্দ্রীয় সরকার একটি সতর্কতা জারি করেছে এবং রাজ্য সরকারগুলিকে ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তেলেঙ্গানা পশুপালন বিভাগ কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া নির্দেশিকাগুলি নিবিড়ভাবে অনুসরণ করছে। পোল্ট্রি খামারিদের জন্য কঠোর জৈব নিরাপত্তা প্রোটোকল সহ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পোল্ট্রি খামারিদের জন্য সতর্কতা
তেলেঙ্গানা এবং অন্যান্য আক্রান্ত রাজ্যের পোল্ট্রি খামারিদের তাদের খামারে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা অনুসরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত মুরগি সাবধানে কবর দিতে হবে এবং অসুস্থ মুরগি পরিবহনের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। মৃত মুরগি বিক্রি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং ভাইরাসটি আরও ছড়িয়ে পড়ার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
তেলেঙ্গানায় ভাইরাসের প্রভাব
তেলেঙ্গানায়, বেশ কয়েকটি পোল্ট্রি খামার ভাইরাস দ্বারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কামারেড্ডি জেলায়, বারলাম ক্যাম্প গ্রামের মুরগি হঠাৎ মারা গেছে। চিনচোলি এবং কিস্তাপুর এলাকার পোল্ট্রি খামারগুলিতে ৬,০০০টিরও বেশি ব্রয়লার মুরগি মারা গিয়েছে। এই প্রাদুর্ভাব রাজ্যের পোল্ট্রি শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
জনসাধারণের পরামর্শ এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা
সরকারি কর্মকর্তারা পোল্ট্রি খামারি এবং সাধারণ জনগণ উভয়কেই সতর্ক থাকার এবং মুরগির পণ্য পরিচালনা বা খাওয়ার সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিচ্ছেন। এমন সময়ে খামারগুলি পরিষ্কার রাখা উচিত এবং মুরগির অসুস্থতার কোনও লক্ষণ অবিলম্বে রিপোর্ট করা উচিত। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ভাইরাস সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত মুরগি কেনা বা খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছেন।