পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ নতুন বছরের শুরুর দিকেই অষ্টম পে কমিশন নিয়ে সুখবর মিলেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার তরফ থেকে জানুয়ারি মাসেই অষ্টম বেতন কমিশনের অনুমোদন দেওয়া হলেও সরকারের তরফ থেকে এখনও সদস্য বা চেয়ারম্যান কে হবে সেটা নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে জাতীয় যৌথ পরামর্শদাতা যন্ত্র পরিষদ (NC-JCM)-এর থেকে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।
মিলবে একাধিক পদোন্নতি
NC-JCM এর মতে, নতুন পে কমিশনের উচিত MACP স্কিমের বর্তমানে থাকা অসঙ্গতি দূর করে কমপক্ষে ৫টি পদোন্নতির কথা বিবেচনা করে দেখা। মডিফায়েড অ্যাসুয়র্ড কেরিয়ার প্রোগ্রেশন বা MACP স্কিমের গ্যারান্টি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকরের কর্মচারীরা ৩০ বছরের চাকরিকালে কমপক্ষে ৩টি পদোন্নতি পাবেন। অর্থাৎ ১০ বছর ২০ বছর ও ৩০ বছরের মাথায় একটি করে পদোন্নতি।
নয়া পে কমিশনে কতটা বাড়বে বেতন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ১.৯২ থেকে ২.৮৬ এর মধ্যেই রয়েছে। সেই হিসাবে কেন্দ্রীয় কর্মী ও পেনশনভোগীদের বাতেন ৯২% থেকে ১৮৬% পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বাস্তবে কি হবে সেটা সময়ই বলবে।
অষ্টম বেতন কমিশনের জন্য পরামর্শ
অষ্টম পে কমিশনে কি কি সুবিধা থাকা উচিত বা কি হলে ভালো হয় সেই নিয়ে বেশ কিছু পৰামৰ্শ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলঃ
নূন্যতম মজুরি : আইক্রয়েড সূত্র এবং ১৫তম ভারতীয় শ্রম সম্মেলনের সুপারিশ অনুযায়ী একটি নূন্যতম মজুরি নির্ধারণ করতে হবে।
মহার্ঘ্য ভাতা : সরকারি কর্মীদের আর্থিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে মূল বা বেসিক স্যালারির বা পেনশনের পাশাপাশি DA বা মহার্ঘ্য ভাতা একত্রীভূত করা হবে।
আরও পড়ুনঃ অপেক্ষার অবসান, কাটল কলকাতার পাইপলাইন গ্যাসের জট! কবে পৌঁছবে বাড়ি বাড়ি?
বেতনের কাঠামো : সমস্ত শ্রেণীর কর্মীদের বেতন কাঠামো পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করে যাদের মধ্যে পার্থক্য রয়ে গেছে সেগুলিকে একত্রীভূত করতে হবে।
রিটায়ারমেন্ট বেনিফিট : সরকারি কর্মীদের পেনশন, গ্রাচুইটি, পারিবারিক পেনশন সুবিধা ও ১লা জানুয়ারি ২০০৪ সালের পর নিয়োগ হওয়া কর্মচারীদের নির্ধারিত পেনশন প্রকল্প পুনরায় চালু করতে হবে।