পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ রাজ্যের ষাঠ ঊর্ধ্ব নারী-পুরুষদের ভাতা দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গে ‘জয় বাংলা’ প্রকল্পের মাধ্যমে এই ভাতা প্রদান করা হয়। অবশ্য কোনো একটি ক্ষেত্রে নয় বৃদ্ধ, বিধবা থেকে শুরু করে বিশেষভাবে সক্ষম নাগরিকদের এই টাকা দেওয়া হয়ে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। মাসিক ১০০০ টাকা হিসাবে প্রায় ১ কোটি নাগরিক এই প্রকল্পে সুবিধা পান। কিন্তু এবার টাকা বাড়ানো নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে সরব হল নবান্ন।
বৃদ্ধদের জন্য ভাতার টাকা বাড়াচ্ছে না কেন্দ্র, অভিযোগ নবান্নর
ন্যাশনাল সোশ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স পোগ্রামের মাধ্যমে বয়স্ক মানুষদের জন্য মাসিক যে ভাতা দেওয়া হয় তাতে কেন্দ্রের কিছু অংশ থাকে। যদিও সেটা অনেকটাই কম। বার্ধক্য ভাতার জন্য ৩০০ টাকা ও ৮০ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের জন্য ৫০০ টাকা প্রতিযামসে দেয় কেন্দ্রীয়। বাকি টাকা দিয়ে প্রতিমাসে ১০০০ টাকা দেয় পশ্চিমবংগ সরকার। প্রতিমাসে মূল্যবৃদ্ধি বাড়তে থাকলেও বিগত এক দশক ধরে টাকার অঙ্কটা একই রয়ে গিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে ২০ লক্ষ ৬৭ হাজার নাগরিকদের হিসাবে টাকা পাঠায় সরকার। বাস্তবে উপভোক্তার সংখ্যা বাড়লেও তাদের জন্য কোনো টাকা দেয় দে না কেন্দ্র। অবশ্য, তালিকার মধ্যে নাম থাকা কেউ যদি মারা যান তার বদলে নতুন নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হতে পারে। এখন সমস্যা হল বাংলায় নতুন সমীক্ষা অনুযায়ী প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ নাম যুক্ত করতে হতে পারে। যার মধ্যে দেড় লক্ষ নাম তোলা গেলেও বাকি ৬ লক্ষের জন্য কোনো বরাদ্দ মিলবে না দিল্লির তরফ থেকে।
নতুন নাম সংযোজনের দাবি রাজ্য সরকারের
সম্প্রতি গ্রামেগঞ্জে কতজনের বার্ধক্য ভাতার নাম নথিভুক্ত করার প্রয়োজন সেই নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেখানেই উঠে আসে ৭ লক্ষ ৪৬ হাজার ব্যক্তিরা ভাতা পাওয়ার জন্য। কিন্ত কেন্দ্র কোটা অনুযায়ী শুধুমাত্র দেড় লক্ষ নাম দেওয়া যাবে। এখন প্রশ্ন হল তাকলে বাকি যোগ্য ৬ লক্ষ মানুষের কি হবে? এর ভিত্তিতেই গত শুক্রবার কেন্দ্রের সাথে হওয়া একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের ২০ লক্ষ ৬৭ হাজারের কোটা বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ দূর্গা না পারুল, মাসের শুরুতে বেঙ্গল টপার কে? রইল TRP তালিকা
বৈঠকে কেন্দ্রের তরফ থেকেও জানায় হয় যে কোটা বৃদ্ধির নিয়ে তারাও একপ্রকার দিশাহীন। পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের মতে, আর পাঁচটা প্রকল্পের মত এক্ষেত্রেও যাতে যোগ্যরা উপকৃত হন তার জন্য যাচাই পক্রিয়া চলেছে। এবার স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য বাংলার আন্তরিক উদ্যোগ কেন্দ্রের কাছে মর্যাদা পায় নাকি বঞ্চনার রীতি বজায় থাকবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।