শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: একটি নতুন রোমাঞ্চকর প্রকল্পের কাজ চলছে ভারতে। যার মাধ্যমে জলের নিচে ট্রেন (Underwater Train) চালানো যাবে! এই ট্রেনটি ভারত এবং দুবাইকে ২০০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে। ভারতের ইতিহাসে এটি প্রথম, কারণ এর আগে কখনও এমন কোনও জলের নিচে ট্রেন ব্যবস্থা ছিল না।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত G-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময় এই নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছিল। এই শীর্ষ সম্মেলনের সময়, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, সৌদি আরব, ফ্রান্স, ইতালি এবং জার্মানি সহ বেশ কয়েকটি দেশ এই পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করে।
ভারতের সঙ্গে কোন দেশকে সংযুক্ত করছে
জলের নিচে ট্রেনটি ভারতের একটি প্রধান শহর মুম্বইকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (UAE) ফুজাইরার সাথে সংযুক্ত করবে। এই রেলপথটি কেবল যাত্রী পরিবহনের জন্যই নয়, পণ্য, জল এবং এমনকি তেল পরিবহনের জন্যও ব্যবহৃত হবে। এটি একটি যুগান্তকারী প্রকল্প যা ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে মানুষ এবং পণ্য পরিবহনের পদ্ধতি পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেয়। এটিই প্রথম তৈরি করা পানির নিচে রেল ব্যবস্থা নয়। ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের মধ্যে ইতিমধ্যেই একই ধরণের ট্রেন ব্যবস্থা চালু রয়েছে, যা জলের নিচে টানেলের মাধ্যমে দুটি দেশকে সংযুক্ত করে।
ভারতের বাইরেও সুবিধা
জলের নিচের রেল নেটওয়ার্ক কেবল ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত নয় বরং এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলিকেও উপকৃত করবে। যোগাযোগ উন্নত করার মাধ্যমে, এটি এই দেশগুলির মধ্যে ভ্রমণ এবং বাণিজ্যকে দ্রুত এবং আরও দক্ষ করে তুলবে। এটি এই অঞ্চলের অর্থনীতি এবং ভ্রমণ শিল্প উভয়ের উপরই বড় প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মুম্বাই থেকে দুবাইকে সংযুক্ত করার জন্য জলের নিচের ট্রেনের ধারণা একটি অবিশ্বাস্য উদ্ভাবন। এটি পরিবহনের ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত এবং ভারত এবং দুবাইয়ের মধ্যে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহনের জন্য নতুন উপায় প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে, বিশ্ব সমুদ্রের নিচে পরিবহনের একটি নতুন যুগ দেখতে পাবে!