তৃতীয় সর্বোচ্চ কর চাপিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, বিরাট চাপে বাংলাদেশ!

Bangladesh in pressure after US President Impose 34% reciprocal tax or US Tariff

তৃতীয় সর্বোচ্চ কর চাপিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, বিরাট চাপে বাংলাদেশ!

Partha Sarathi Manna

Published on:

পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর থেকেই উত্তাল বিশ্ব অর্থনীতি। প্রতিটি দেশের উপরেই আমদানির ক্ষেত্রে পারস্পরিক কর (US Tariffs) চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফলে রপ্তানি নির্ভর দেশগুলিতে বিরাট প্রভাব পড়তে দেখা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়নি ভারত কিংবা প্রতিবেশ রাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্যও। ট্রাম্পের কর তালিকায় তৃতীয় সবচেয়ে বেশি কর চাপানো হয়েছে বাংলাদেশের উপরেই।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কর ঘোষণায় চাপে বাংলাদেশ!

শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার স্থাপন হয়েছে বাংলাদেশে। যার দায়িত্বে রয়েছেন নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস। কিন্তু এবার আমেরিকার বসানো রেসিপ্রোকাল ট্যারিফের জেরে চাপে পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। করে তালিকা বলছে তৃতীয় সর্বোচ্চ ট্যাক্স ধার্য করা হয়েছে বাংলাদেশ থেকে আসা পণ্যের উপরে। আমেরিকায় বাংলাদেশী পণ্য আমদানি করতে ৩৭% কর দিতে হবে।

এর পিছনে কারণ হিসাবে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের আমেরিকান পণ্যের উপর ৭৪% কর দিতে হয়। তাই পাল্টা মার্কিন মুলুকে রফতানির ক্ষেত্রে এই কর চাপানো হয়েছে। গত ২রা এপ্রিল হোয়াইট হাউস থেকে যে পারস্পরিক করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে কম্পোডিয়া ও শ্রীলংকার পর তৃতীয় সর্বোচ্চ কর চাপানো হয়েছে বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই।

চাপের মুখে বাংলাদেশের অর্থনীতি!

আমেরিকায় রফতানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কর চাপতেই চাহিদা কমছে বাংলাদেশী পণ্যের। এদিকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনেকটাই অবদান থাকে বস্ত্রশিল্পের। এক্ষেত্রে উৎপন্ন হওয়া বস্ত্র বিদেশে রফতানি করেই মোটা আয় হত। এছাড়া আমেরিকার কোম্পানিগুলিও বাংলাদেশের কোম্পানির থেকেই উৎপাদন করত। কিন্তু এখন কর লাগু হওয়ার পর এবার সিঁদুরে মেঘ দেখছে দেশের অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুনঃ প্রতি মাসে নিশ্চিত আয় ১০,০০০ টাকা! জীবনকে সহজ করতে দারুণ প্ল্যান LICর

এখন আগামী দিনে বাংলাদেশের উপর চাপানো করে পরিমাণ কমানো হয় কি না তার উপরেই নজর রাখতে হবে। কারণ সেটা না হলে আরও চাপ বাড়বে ইতিমধ্যেই চাপে জর্জরিত বাংলাদেশের উপর।

সঙ্গে থাকুন ➥