শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: অনেক সময় আমরা দীর্ঘ ভ্রমণে যাই। অনেকেই আবার ভাবি, যদি ট্রেনেও একটি এটিএম থাকত। টাকা চুরির চিন্তা থাকত না। সেই আশাই পূরণ হল (ATM In Train)। এবার থেকে যখনই প্রয়োজন হবে, চলন্ত ট্রেনে নগদ টাকা তুলতে পারবেন। হ্যাঁ, আপনি হয়তো বিশ্বাস করবেন না কিন্তু ট্রেনে ভ্রমণকারী যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে, রেলওয়ে এটিএম পরিষেবা শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছে।
ট্রেনে বসানো হবে এটিএম (ATM In Train)!
যাত্রীদের সুবিধার্থে ভারতীয় রেল এখন একটি অনন্য উদ্যোগ শুরু করেছে। এখন চলন্ত ট্রেনেও টাকা তোলা যাবে। এই সুবিধাটি বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে। মনমাড থেকে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস (CSMT) পর্যন্ত চলাচলকারী পঞ্চবটী এক্সপ্রেসে একটি এটিএম মেশিন স্থাপন করা হয়েছে।
এই নতুন সুবিধাটি বিশেষ করে সেইসব যাত্রীদের জন্য স্বস্তি বয়ে আনবে যারা অনলাইনে পেমেন্ট করেন না এবং সমস্ত পেমেন্ট কেবল নগদে করেন। এর পাশাপাশি, ট্রেনে অনলাইনে পেমেন্ট করতে না পারার কারণে বা নগদ অর্থ ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে যারা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তাদের জন্য এটি একটি স্বস্তির খবর।
ট্রেনে এটিএম বসানোর ট্রায়ালের কার্যক্রম শুরু
ট্রেনে বসানো এটিএম মেশিনের ট্রায়াল চলাকালীন, রেলওয়ে কর্মকর্তারা পরীক্ষা করছেন যে এটিএম চলন্ত ট্রেনে সঠিকভাবে কাজ করতে পারে কিনা। নেটওয়ার্ক সংযোগ, নিরাপত্তা, গোপনীয়তা, যাত্রীদের সুবিধা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির যত্ন নেওয়া হচ্ছে। যদি এই পরীক্ষা সফল হয়, তাহলে ভবিষ্যতে অন্যান্য ট্রেনেও এটিএম স্থাপন করা যেতে পারে। এর ফলে, যাত্রীদের প্রয়োজনে টাকা তোলার জন্য স্টেশনে অপেক্ষা করতে হবে না।
প্রথমবারের মতো মুম্বাই-মনমাদ পঞ্চবতী এক্সপ্রেসের একটি কোচে একটি অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম) স্থাপন করা হয়েছে। ভারতীয় রেলওয়ের কোনও ট্রেনে এই প্রথমবারের মতো এই ধরণের সুবিধা চালু করা হয়েছে। কর্মকর্তাদের মতে, এক্সপ্রেস সার্ভিসের এসি চেয়ার কার কোচে এটিএমটি স্থাপন করা হয়েছে এবং শীঘ্রই যাত্রীদের জন্য এটি উপলব্ধ করা হবে।
প্রসঙ্গত, চলন্ত ট্রেনে যন্ত্রটির নিরবচ্ছিন্ন কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা এবং কাঠামোগত সমন্বয় করা হয়েছে। পঞ্চবটী এক্সপ্রেস মুম্বাই থেকে মনমাড পর্যন্ত, ট্রেন নম্বর ১২১০৯, একটি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রেন যা মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস (CSMT) থেকে মনমাড জংশন (MMR) পর্যন্ত চলে। যাত্রায় প্রায় ৪ ঘন্টা ৩৫ মিনিট সময় লাগে।