৫০ পয়সার কয়েনের দাম ১৬,০০০ টাকা! খুঁজে দেখুন, এই কয়েন রয়েছে কি আপনার বাড়িতে?

Ancient coins Values

৫০ পয়সার কয়েনের দাম ১৬,০০০ টাকা! খুঁজে দেখুন, এই কয়েন রয়েছে কি আপনার বাড়িতে?

Shree Bhattacharjee

Published on:

শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: দক্ষিণ কলকাতার এক ব্যাঙ্কোয়েটে বসেছিল মেলা। অংশ নিয়েছিলেন বাংলার তাবড় মুদ্রা বিশেষজ্ঞরা (Ancient coins Values)। এই প্রথম নয়। প্রত্যেকবার শনিবার করে কলকাতা জিপিওতে এই প্রদর্শনীর আয়োজন হয়। রাজ্যের তাবড় তাবড় কয়েন সংগ্রাহক, কিংবা বিক্রেতারা হাজির হন। বাড়িতে পড়ে থাকা পুরনো কয়েন বিক্রি করে এখান থেকেই আয় করতে পারেন মোটা টাকা। তাই সুযোগ আসবে প্রতি সপ্তাহান্তে।

বুক পকেটের ওই পুরনো দু’টো দু’টাকার কয়েনটি ফেলে দিতে যাবেন না, ওটাই আপনার ভাগ্য ফেরাতে পারে। অক্ষয় তৃতীয়ার আগেই বাড়িতে লক্ষ্মীকে নিয়ে আসতে পারে। দাঁড়ান মজা করছি না। এখনও এমন কিছু বাতিল কয়েন রয়েছে, সেই কয়েনের দাম আকাশছোঁয়া। মুদ্রা বিশেষজ্ঞদের মতে, সামান্য দু টাকা-এক টাকার কয়েনের মূল্য কখনও ১৪ কিংবা ৩০ হাজার হতেও পারে।

পুরনো কয়েন কিনে কার কী লাভ?

আসলে বিষয়টি হল ‘নিউমিসম্যাটিস্টস। যাঁরা মুদ্রা সংগ্রহ করেন তাঁদের এটাই নাম। দেখবেন, প্রতিটি পুরনো কয়েনে রয়েছে বিশেষ কিছু বিশেষত্ব। যত তার সহজলভ্যতা কমবে, দাম তত বাড়বে। কোন সালে কয়েনটি তৈরি হয়েছিল। সেই বছর ওই ধরনের কতগুলো কয়েন ছিল টাঁকশালের কাছে। এই মুহূর্তে আর কতগুলি রয়েছে। এই সবের ভিত্তিতেই কয়েনের দাম বদলায়।

আরও পড়ুন: কম খরচে ঘুরে আসুন শিলং-তাওয়াং-কাজিরাঙ্গা, গরমের ছুটিতে বেড়ানোর সেরা প্যাকেজ IRCTC-র

১৯৮৬ সালের এই পঞ্চাশ পয়সার দাম ১৫ হাজার টাকা!

এক মুদ্রা এক্সপার্ট জানিয়েছেন, ১৯৮৬ সালে দুটো টাঁকশাল থেকে ৫০ পয়সা তৈরি হয়েছিল। কলকাতা, মুম্বাই। বেশি সহজলভ্য হওয়ায় কলকাতার টাঁকশাল থেকে তৈরি ৫০ পয়সার বাজারমূল্য ছিল কম। কিন্তু ওই বছর মুম্বইয়ের আধুলির বাজারমূল্য ১৫ হাজার টাকা। তাই আপনি এখন যদি ওই কয়েন বেচতে যান, অন্তত ১২০০০ টাকা পেতেই পারেন।

তবে, মনে রাখবেন। যে কয়েন বেচবেন সেই কয়েনের বিশেষত্ব থাকতে হবে। নাহলে হবে না। অনেকেই বোকামি করে, না বুঝে প্রতারকদের থেকে মোটা টাকা দিয়ে কয়েন কিনে আবার সেটা আরও মোটা টাকায় বেচতে যাচ্ছেন, কিন্তু সে কয়েন তো আর নেওয়া হবে না। তাই সাবধান।

সঙ্গে থাকুন ➥