শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: দিনরাত খেটে পড়াশোনা করে পরীক্ষায় পাশ করে চাকরি পেয়েও লাভ হয়নি (Teacher Recruitment Scam)। অযোগ্যদের জন্য যোগ্যরাও আজ অযোগ্য। খানিকটা ওই টাটকা সবজির পচা সবজির সংস্পর্শে আসার গল্পের মতো আর কি! সে যাই হোক, নিজেদের অধিকার বিনা দোষে ছাড়তে নারাজ এই চাকরিহারা শিক্ষকরা। প্রতিবাদ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। অবশেষে যদিও কিছুটা স্বস্তি মিলেছে।
জানা গিয়েছে, মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশনের সুপ্রিম রায় বিচার করে ‘অযোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষকেরা সাময়িক স্বস্তির মুখ দেখে নিয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। ‘যোগ্য’ বলে দাবি করে তাঁরাও এখন স্কুলে যাবেন। আগের মতোই ক্লাস করাবেন। নিজেদের চাকরি হাতছাড়া হতে দেবেন না। সবাই একজোট হয়ে নেমে পড়েছেন মাঠে। ইতিমধ্যেই তাঁরা একটি সংগঠন তৈরি করেছেন। মিছিল করেছেন কলকাতা জুড়ে।
আরও পড়ুন: শিয়ালদায় মহিলা কামরার সংখ্যা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত, কী ঘোষণা করল পূর্ব রেল?
সংগঠনের তরফে কমলেশ কপাটের দাবি, আদালত তার মূল রায়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে স্পেসিফায়েড টেন্টেড কারা। ওই সংখ্যাটা আসলে ১২১২। কিন্তু বাকিরা তো যোগ্য! হাজার কষ্ট শেষে শান্তির মুখ দেখেছিলেন। নিজেদের স্টেপ জাম্প করে, আউট অফ প্যানেল থেকে নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে ঢুকে যোগ্যদের তো আর সরিয়ে দেওয়া যাবে না। তাই কমলেশ কপাটের আরও দাবি, তাঁদের নামের তালিকা রায়ের যে সেকশনে উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানেই ওএমআরে গোলমাল পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আদালত স্পেসিফায়েড টেন্টেড কথাটা উল্লেখ করেনি।
অর্থাৎ সেই মতো দেখতে গেলে, মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশনের রায় পড়ে কমলেশরা এটা দাবি করেছেন যে স্পেসিফায়েড টেন্টেড’ বা চিহ্নিত অযোগ্যরা একমাত্র স্কুলে যেতে পারবেন না। আদালত নাকি স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন এমনটাই। আর যে চাকরিহারা শিক্ষকেরা সেই স্পেসিফায়েড টেন্টেডের মধ্যে পড়েন না, তাঁরা কেন স্কুলে যাবেন না! কমলেশদের দাবি যে ওএমআরে গোলমালের সংখ্যাটা ৪০৯১। সিবিআইয়ের এই দাবিকে আবার মেনে নেয়নি আদালত।
যদিও এখনই মুক্তি নেই। হারানো চাকরি ফেরাতে হবে তো! নাহলে পরিবার নিয়ে কোথায় যাবনে! তাই হারানো চাকরি ফেরতের দাবিতে রিভিউ পিটিশনের দিকেই এখনও তাকিয়ে রয়েছেন এই তথাকথিত ‘অযোগ্য’ চাকরিহারারা।