শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: ভারত ও জাপানের মধ্যে বন্ধুত্ব আবারও ইতিহাস সৃষ্টি করেছে (India Bullet Train)। জাপান ভারতকে বিশ্বখ্যাত শিনকানসেন বুলেট ট্রেন উপহার দেওয়ার ঘোষণা করেছে। এই উচ্চ-গতির ট্রেনটি কেবল ভারতের রেল নেটওয়ার্ককেই আধুনিকীকরণ করবে না বরং দুই দেশের মধ্যে প্রযুক্তিগত ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ককেও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আসুন, এই চমৎকার উপহারের বিশেষত্ব এবং ভারতের জন্য এর তাৎপর্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
দু’ টি বুলেট ট্রেন বিনামূল্যে
জাপান ভারতকে দুটি শিনকানসেন বুলেট ট্রেন E-5 এবং E-3 দেবে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই। এটি মুম্বাই-আহমেদাবাদ হাই-স্পিড রেল করিডোরের পরীক্ষায় সহায়তা করবে। জাপান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, এই ট্রেনগুলি ২০২৬ সালের প্রথম দিকে ভারতে পৌঁছাবে। শিনকানসেনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার। এটি ২০১১ সাল থেকে জাপানে চলছে। শুরু থেকেই এটি ভারতের পছন্দের মডেল।
এই ট্রেনগুলিতে বিশেষ ধরণের পরিদর্শন সরঞ্জাম স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে, এটি ভারতের পরিবেশগত পরিস্থিতি যেমন ট্র্যাক, গতি, তাপমাত্রা এবং ধুলোর কথা মাথায় রেখে তথ্য সংগ্রহ করবে। এই ভিত্তিতে, পরবর্তী প্রজন্মের E-10 সিরিজের (আলফা এক্স) নকশা প্রস্তুত করা হবে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন এজেন্সি ভারতের বুলেট ট্রেন প্রকল্পে ঋণের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থায়ন করছে। এর সুদের হার মাত্র ০.১% এবং ৫০ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ২৮ বছরের অপেক্ষা! ১১৯ কিমি টানেল, ৯২৭ সেতুর ট্র্যাক চালু করে অসাধ্য সাধন ভারতীয় রেলের
ভবিষ্যতে রেলপথ গতি পাবে
E3 সিরিজটি জাপানের ‘মিনি শিনকানসেন’ বুলেট পরিষেবায় ব্যবহৃত একটি পুরানো মডেল। এর রাইড কোয়ালিটি, অ্যারোডাইনামিক ডিজাইন এবং নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলি চমৎকার। ভারত প্রথমবারের মতো শিনকানসেন প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা লাভ করবে। এটি E-10 সিরিজের প্রস্তুতি ত্বরান্বিত করবে, যা ভবিষ্যতে ঘন্টায় ৪০০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে। শিনকানসেন কেবল একটি দ্রুতগামী ট্রেন নয়। এটি নিরাপত্তা, সময়ানুবর্তিতা এবং অত্যাধুনিক প্রকৌশলের প্রতীক যা ভারতের রেল রূপান্তরের একটি প্রধান অংশ গঠন করবে।
বলে রাখি, জাপান এর আগে তাইওয়ানকে একটি শিনকানসেন পরীক্ষামূলক ট্রেন উপহার দিয়েছে। ভারতকে ট্রেন দেওয়া জাপানের কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং বন্ধুত্বের প্রতীকই বটে।