শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: প্যাকেটজাত খাবার খাচ্ছে বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবাই (Food Safety Norms)। বাইরে থেকে দেখতে সুস্বাদু, খেতে সুস্বাদু, এই খাবার কি আদতে স্বাস্থ্যকর? খাদ্য সুরক্ষার মান বজায় রাখে? এই বিষয়গুলো মনে দাগ কেটেছে ভারতের শীর্ষ আদালতের। তাই এবার বিরাট পদক্ষেপ করতে পিছপা হলেন না বিচারকরা। সুপ্রিম কোর্ট একটি ডেডলাইন দিয়েছে। সেই সময়ের মধ্যেই বিশেষ কাজ করতে হবে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে।
উল্লেখ্য, পুনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি একটি জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল। সেখানেই খাদ্য সুরক্ষার কথা ওঠে। শীর্ষ আদালত দাবি করে, বাড়ির বাচ্চাদের জন্য বিশেষ করে এই নির্দেশ অতি গুরুত্বপূর্ণ। কেউ কি জানেন কুরকুরে এবং ম্যাগিতে কী রয়েছে। কেউ জানেন না। কীভাবে এই খাবারগুলো প্যাকেজ করা হয়, কারও কোনও আইডিয়া নেই। সব থেকে বড় বিষয় এই খাবারের প্যাকেটগুলিতে কোনও তথ্যই নেই। আর এবার থেকে এই তথ্য লাগবে।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক পাশেই চাকরি, মহিলাদের বাড়ি থেকে কাজের সুযোগ দিচ্ছে রাজ্য সরকার! কীভাবে আবেদন করবেন?
খাদ্য সুরক্ষার তাগিদে কী পদক্ষেপ?
সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে যে প্রতিটি খাবারে যেন এবার থেকে সমস্ত তথ্য থাকে। এর অর্থ হল ওই খাবারটি কী দিয়ে বানানো, কত পরিমাণ নুন রয়েছে, চিনি কতটা রয়েছে, ক্যালোরি কতটা বাড়বে, ফ্যাটের পরিমাণ কত, প্রোটিন আছে কিনা, এই সমস্ত তথ্য দিতে হবে খাবারের প্যাকেটের গায়ে। প্রত্যেক ক্রেতা যেন খাবার কেনার আগে যেন সমস্ত তথ্য সেখান থেকেই দেখতে পান। ক্রেতাদের সঙ্গে কোনও লুকোচুরি খেলা যাবে না। ২০২০ সালের আইন মেনে আগামী তিন মাসের মধ্যে এই নিয়মকে কার্যকরী করতে হবে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে।
কী বলছে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া?
শীর্ষ আদালতের সঙ্গে একমত ফুড সেফটি দফতরও। তারা কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে। এবিষয়ে কোনও খামতি রাখা হবে না। খাবারের প্যাকেটগুলিতে ৫ তারার রেটিং থাকাও এখন বাধ্যতামূলক হিসেবে বলা হয়েছে। এই রেটিং গ্রাহকদের বোঝাবে যে কোন খাবারের গুণমান কত ভালো।