শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: ভারতীয় রেলের ইতিহাস যতটা আকর্ষণীয়, ঠিক ততটাই মজার। এতে ভ্রমণের আনন্দ অন্যরকম, যা সবচেয়ে সস্তা এবং সহজ বলে মনে করা হয়। ভারতীয় রেলপথ বিশ্বের বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্কগুলির মধ্যে একটি। কিন্তু আপনি কি জানেন যে দেশে এমন একটি জেলা আছে যেখানে দু’ টি দেশের রেলস্টেশন রয়েছে? বা বলতে পারেন যে ভারতের এই জেলায় ঘাঁটি গড়েছে বিদেশের রেলস্টেশন! এই গল্পে আমরা আপনাকে এই বিষয়েই বলছি।
কোন রেলস্টেশনের কথা বলা হচ্ছে?
আজকাল, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভারতীয় রেলওয়ে সম্পর্কিত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়, এবং শিক্ষার্থীদের জন্য এর উত্তর জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, সাধারণ জ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে রেলওয়ে সম্পর্কিত কিছু তথ্য সাধারণ মানুষের জানা গুরুত্বপূর্ণ। তাই, আজ আমরা আপনাকে সেই জেলার কথা বলব যেখানে দুটি দেশের রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে। উভয় দেশের নাগরিকরা এখানে নেমে যান এবং যাত্রীরা উভয় দেশে যাওয়ার জন্য এখান থেকে ট্রেন ধরেন।
আরও পড়ুন: রাজধানী, শতাব্দী, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ভারতীয় রেলের হাতের বাইরে, লাভের গুড় খাচ্ছে কোন মালিক?
আসলে, ভারতের এই একমাত্র জেলার নাম মধুবনী, যা বিহার রাজ্যে অবস্থিত। ভারতীয় রেলওয়ের পাশাপাশি, নেপালেরও (India Nepal railway ) এখানে একটি রেলস্টেশন রয়েছে।মধুবনী জেলার জয়নগরে এই দুটি রেলস্টেশন একে অপরের থেকে অল্প দূরত্বে অবস্থিত। এই দুটিকে সংযুক্ত করার জন্য একটি ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। বিহারের মধুবনী জেলার জয়নগর ভারতের শেষ রেলওয়ে স্টেশন। এই স্টেশনটি উত্তর রেলওয়ে জোনের আওতাধীন। এখানে ভারত ও নেপালের ট্রেন একসাথে আসা-যাওয়া করে। নেপালী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছানোর জন্য, যাত্রীদের তাঁদের লাগেজ গার্ড দ্বারা পরীক্ষা করাতে হয়। চেক করার পরই তাঁরা ট্রেনে উঠতে পারবে।
প্রসঙ্গত, ভারত সরকার নেপালে রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই প্রকল্পটি কোঙ্কন রেলওয়ে দ্বারা পরিচালিত হয়। প্রতিদিন নেপাল থেকে এখানে ২টি ট্রেন আসে এবং যায়। এইভাবে, এই জেলা ভারতের একমাত্র জেলা হয়ে উঠেছে যেখানে দুটি দেশের রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে। যদি কখনও সুযোগ পান, তাহলে অবশ্যই জয়নগরে অবস্থিত এই দুটি স্টেশন দিয়ে ভ্রমণ করবেন। যার অভিজ্ঞতা হবে ভিন্ন এবং অনন্য।