পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ বিগত ২২ শে এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় যে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে বর্তমানে ক্ষুদ্ধ গোটা দেশ। ২৬ জনের প্রাণ চলে গিয়েছে। স্বর্গরাজ্য যে এতটা বিভীষিকাময় হতে পারে এটা কখনো কল্পনাও করতে পারেননি সেই সময় বৈসরনে থাকা পর্যটকেরা। তবে এবার পাহেলগাঁও থেকে বেঁচে ফায়ার সেদিনের ঘটনার কথা সোশ্যাল মিডিয়াতে তুলে ধরলেন এক ব্যক্তি।
পাহেলগাঁওতে বিভীষিকাময় ২২ শে এপ্রিল
এদিন গোটা পরিবার সহ পাহেলগাঁও ভ্রমণে গিয়েছিলেন মাইসুরের বাসিন্দা প্রসন্নকুমার ভাট। প্রসন্ন ছাড়াও তাঁর স্ত্রী, ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী সব মিলিয়ে ৪ জন ঘুরতে গিয়েছিলেন। প্রসন্নবাবুর মতে, কাশ্মীর ভ্রমণে গিয়ে যে এমন একটা নারকীয় ঘটনার স্বাক্ষী হব সেটা স্বপ্নেও ভাবতেও পারেননি। সেই দিনের কথা বর্ণননা করে একটি ফেসবুকে পিপোস্ট করেছেন তিনি।
প্রসন্ন জানাচ্ছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ২ দিন পিছিয়ে গিয়েছিল ট্যুর প্ল্যান। পাহেলগাঁওয়ের কাদামাখা রাস্তা পেরিয়ে ২ কিমি যাওয়ার পর বৈসরন পৌঁছে ক্যাফেতে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর হাঁটা শুরু, তারপরেই আচমকা গুলির শব্দ শোনা যায়।
মূহুর্তের মধ্যে বদলে যায় পরিস্থিতি। হাসি আনন্দের ভ্রমণের মুহূর্ত পাল্টে যায় আতঙ্কে। প্রসন্নকুমারের ভাই পেশায় সেনার উচ্চপদের কর্মী হওয়ার জেরে পর্যটকদের মাথা নিচু করে উল্টো পথে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এই কারণেই প্রায় ৪০জনকে বাঁচাতে পেরেছেন তিনি। যদিও কাজটা খুব সহজ ছিল না। কারণ মেন দরজার কাছেই জঙ্গিরা দাঁড়িয়েছিল। তাদের ডেকে পিছু হাটতে বাধ্য হন সকলে। তবে দ্রুত সরে যাওয়ার ফলে প্রাণ বেঁচে যায় ও পরবর্তীতে সেনা এসে তাদের উদ্ধার করে।
আরও পড়ুনঃ ১লা মে থেকে পাল্টে যাচ্ছে কলে জল আসার সময়, কতক্ষণ মিলবে জল? জানাল হাওড়া পুরসভা
প্রসঙ্গত, এই সন্ত্রাসবাদী হামলার ডে স্বীকার করেছে দি রেজিস্টেন্স ফ্রন্ট বা TRF। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন দেশ বিদেশের সমস্ত নেতারা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫টি কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। যার মধ্যে অন্যতম হল সিন্ধু নদীর জলের চুক্তি বাতিল করা হয়েছে।