শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর গোটা বিশ্ব যখন শোকার্ত। ভ্রমবিলাসীদের ভ্রমণপিপাসা তখনও মেটেনি (Kashmir Tourism)। পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পরও কাশ্মীরে ভিড় জমাতে শুরু করেন মানুষ। এমন সময় পর্যটকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বড় সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন।
পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর নিরাপত্তার কারণে কাশ্মীর উপত্যকার সংবেদনশীল এলাকায় অবস্থিত ৫০টিরও বেশি পার্ক এবং বাগান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কাশ্মীর উপত্যকার সংবেদনশীল এলাকায় অবস্থিত প্রায় ৫০টি পাবলিক পার্ক এবং বাগান বন্ধ করে দেওয়া হল।
জানা গিয়েছে, পর্যটকদের জন্য হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে, কাশ্মীরের ৮৭টি পাবলিক পার্ক এবং উদ্যানের মধ্যে ৪৮টির গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নিরাপত্তা পর্যালোচনা এখন চলছে, সেই অনুযায়ী এই বন্ধের সিদ্ধান্ত এবং আগামী দিনে তালিকায় আরও স্থান যুক্ত হতে পারে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্ধ করে দেওয়া পর্যটন কেন্দ্রগুলি কাশ্মীরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত এবং এর মধ্যে গত ১০ বছরে খোলা কিছু নতুন স্থানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কোন কোন এলাকা বন্ধ?
পর্যটকদের জন্য নিষিদ্ধ স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে দুষ্পথ্রি, কোকেরনাগ, ডাকসুম, সিন্থান টপ, আছাবল, বাঙ্গুস ভ্যালি, মরগান টপ এবং তোষাময়দান। যদিও কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করেনি, তবুও এই স্থানগুলিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দক্ষিণ কাশ্মীরের অনেক মুঘল উদ্যানের ক্ষেত্রে, এই স্থানগুলির গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: একাই ৪০ জনের প্রাণ বাঁচান ভারতীয় জওয়ান, জঙ্গিদের হাত থেকে যেভাবে ছিনিয়ে নেন পর্যটকদের
প্রসঙ্গত, পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২২ এপ্রিল, পহেলগামের বৈসরান উপত্যকায় একটি সন্ত্রাসী হামলা সারা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে। যার মধ্যে একজন বিদেশী নাগরিক সহ দেশের ২৬ জন নিহত এবং অনেকে আহত হন। এই ঘটনার পর থেকে আরও সতর্ক হয়ে গিয়েছে ভারত সরকার।