আর কাজ করবে না আধার-প্যান-রেশন কার্ড, নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে লাগবে এই ২ নথি, ঘোষণা কেন্দ্রের

Governemnt Order

আর কাজ করবে না আধার-প্যান-রেশন কার্ড, নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে লাগবে এই ২ নথি, ঘোষণা কেন্দ্রের

Shree Bhattacharjee

Published on:

শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আবহে অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশী নাগরিকদের বিরুদ্ধে অভিযান হল তীব্রতর। এখন থেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য আধার কার্ড, প্যান কার্ড বা রেশন কার্ডের মতো নথি গ্রহণযোগ্য হবে না। পুলিশ স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে যে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট দুই নথিই ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের (Governemnt Order) নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, উদ্দেশ্য হল ক্রমবর্ধমান অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।

কেন নিয়ম এই পরিবর্তন?

গত বছর থেকে চলমান যাচাই অভিযানের সময়, দিল্লি পুলিশ দেখতে পেয়েছে যে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী আধার, প্যান এবং রেশন কার্ডের সাহায্যে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের কাছে UNHCR-এর জারি করা শরণার্থী কার্ডও পাওয়া গিয়েছে। এর ফলে আসল-নকল শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে, এখন ভোটার আইডি এবং পাসপোর্টকেই চূড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সাম্প্রতিক পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর, ভারত সরকার এই বড় পদক্ষেপ করেছে এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এখন। শুধুমাত্র কূটনৈতিক, চিকিৎসা এবং দীর্ঘমেয়াদী ভিসা কিছুটা হলেও অব্যাহতি পাবে, তবে ২৯শে এপ্রিলের পর চিকিৎসা ভিসাও অবৈধ হয়ে গিয়েছে বলে খবর। দিল্লি পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে সমস্ত পাকিস্তানি নাগরিকদের তালিকাভুক্ত করার এবং তাদের ভারত ত্যাগের জন্য নোটিশ জারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধে সর্বত্র ধ্বংসযজ্ঞ হবে, ১০ শহরে ঝুঁকিতে সবচেয়ে বেশি

প্রসঙ্গত, দিল্লি পুলিশ সমস্ত জেলার ডিসিপিদের তাঁদের এলাকায় বসবাসকারী সন্দেহভাজন বিদেশী নাগরিকদের সনাক্ত করতে এবং তাঁদের উপর কঠোর নজরদারি রাখার নির্দেশ দিয়েছে। দিল্লিতে থাকা ৩,৫০০ পাকিস্তানি নাগরিকের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৪০০ জনেরও বেশি লোককে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বলা বাহুল্য, এই সিদ্ধান্ত কেবল দেশের নিরাপত্তা জোরদার করার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপই নয়, বরং এটিও দেখায় যে ডকুমেন্টারি শনাক্তকরণে কোনও ধরণের ত্রুটি আর সহ্য করা হবে না। ভবিষ্যতে দিল্লির মতো অন্যান্য রাজ্যেও এই নীতি বাস্তবায়িত হতে পারে।

সঙ্গে থাকুন ➥