পরমাণু বোমা হামলা হলে কীভাবে বাঁচাবেন নিজেকে? প্রস্তুত থাকুন এইভাবে

General Knowledge

পরমাণু বোমা হামলা হলে কীভাবে বাঁচাবেন নিজেকে? প্রস্তুত থাকুন এইভাবে

Shree Bhattacharjee

Published on:

শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা (General Knowledge)। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানে একটি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন “সিঁদুর” পরিচালনা করেছে। পাকিস্তান ভারতকে পারমাণবিক হামলার হুমকি দেওয়ার পর এই অভিযান শুরু করে ভারত এবং এটি ভারতের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের অংশ ছিল বলে জানা গিয়েছে। পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রায় ১৫ দিন পর, ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে নয়টি সন্ত্রাসী আস্তানায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই হামলায় অনেক সন্ত্রাসী নিহত হয় এবং প্রধান সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈয়বার আস্তানা লক্ষ্যবস্তু করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই পারমাণবিক শক্তিধর, এবং এই পরিস্থিতিতে, ভারতের উপর পাকিস্তানের পারমাণবিক হামলার হুমকি একটি গুরুতর পরিস্থিতির ভয় দেখাচ্ছে। পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে, পাকিস্তান ক্রমাগত এই হুমকির পুনরাবৃত্তি করে আসছে, অন্যদিকে ভারত তার নিজস্ব ভাষায় এর জবাব দিয়েছে। ভবিষ্যতে যদি যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং পাকিস্তান আক্রমণ করে, তাহলে তারা পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করতে পারে, যা আরও একটি মারাত্মক পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে, এই প্রতিবদেনে আমরা আপনাকে বলব যে কোনও দেশ পারমাণবিক বোমা ফেললে তেজস্ক্রিয়তা এড়ানোর উপায় কী?

কোনও দেশ পারমাণবিক বোমা ফেললে তেজস্ক্রিয়তা এড়ানোর উপায় কী?

পারমাণবিক বোমা বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক এবং ধ্বংসাত্মক অস্ত্র, এবং এর প্রভাব কেবল বিস্ফোরণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এই অস্ত্রটি শেষবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহার করা হয়েছিল, যখন আমেরিকা জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা ফেলেছিল। হিরোশিমা আক্রমণে কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রায় ৮০,০০০ মানুষ মারা যায়। বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট প্রচণ্ড তাপে বহু মানুষ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

কিন্তু সবচেয়ে মারাত্মক প্রভাব ছিল সেই সময়ে ছড়িয়ে পড়া বিকিরণের, যা কেবল তাৎক্ষণিক মৃত্যুই ঘটায়নি, বরং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দীর্ঘ সময় ধরে অনেক মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করেছিল। এই বিকিরণের প্রভাব আজও হিরোশিমায় অনুভূত হয়। একই সময়ে, নাগাসাকিতে আক্রমণে, শহরের ৮০ শতাংশ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। এই ঘটনাগুলি প্রমাণ করেছে যে পারমাণবিক হামলার আসল বিপদ কেবল বিস্ফোরণ নয় বরং এর পরে ছড়িয়ে পড়া বিপজ্জনক বিকিরণ, যার প্রভাব প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে স্থায়ী হয়।

আরও পড়ুন: ভয়ানক হবে পরিণতি! ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ নিয়ে বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী

পারমাণবিক হামলার পর বিকিরণ থেকে রক্ষা পাওয়ার কার্যকর উপায় কী?

যদি কোনও দেশ পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে, তাহলে উদ্ধারের জন্য খুব কম সময় থাকে কারণ বিস্ফোরণের পর তাপ এবং শক্তি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সবচেয়ে বড় বিপদ হল বিকিরণ, যার প্রভাব কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, বিকিরণ এড়াতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ রয়েছে যা অবিলম্বে নেওয়া উচিত:

  1. পালানোর চেষ্টা করবেন না: বিকিরণের সংস্পর্শে আসার পরপরই, পালানোর পরিবর্তে নিরাপদ স্থানে লুকিয়ে থাকুন। যেখানেই আপনি শীতল এবং নিরাপদ স্থান পাবেন, সেখানেই আশ্রয় নিন এবং পরবর্তী ২৪ ঘন্টা বাইরে যাবেন না।
  2. বাইরে থেকে ফিরে জামাকাপড় খুলে ফেলুন: বিকিরণ কণা কাপড়ের সঙ্গে লেগে থাকতে পারে, তাই প্রথমেই জামাকাপড় খুলে ফেলুন। এগুলো প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে মানুষ ও প্রাণীর নাগালের বাইরে রাখুন।
  3. সাবান দিয়ে স্নান করুন: নিজেকে পরিষ্কার করার জন্য সাবান ও জল দিয়ে ভালো করে স্নান করুন। শরীরে যেন খুব বেশি ঘষা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখুন এবং চোখ, নাক এবং কান পরিষ্কার করার জন্য কেবল একটি পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করুন।
সঙ্গে থাকুন ➥