বিয়ের পরপরই শোকের ছায়া দিলীপের সংসারে! রহস্যমৃত্যু স্ত্রী রিঙ্কুর আগের পক্ষের ছেলের, উদ্ধার মৃতদেহ

Dilip-Rinku

বিয়ের পরপরই শোকের ছায়া দিলীপের সংসারে! রহস্যমৃত্যু স্ত্রী রিঙ্কুর আগের পক্ষের ছেলের, উদ্ধার মৃতদেহ

Shree Bhattacharjee

Published on:

শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: দ্বিতীয় বিয়ের রেশ কাটতে না করতেই প্রথম পক্ষের সন্তানকে হারালেন দিলীপ ঘোষের নববিবাহিতা স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদার। শোকের ছায়া পরিবারে। মঙ্গলবার নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাটে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে রিঙ্কুর ছেলের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সে খবর চাউর হতেই শোরগোল। পশ্চিমবঙ্গের ভারতীয় জনতা পার্টির দাপুটে নেতা দিলীপ ঘোষের পরিবারে এমনটা কীভাবে ঘটল! উঠছে প্রশ্ন।

দিলীপের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের ছেলের নাম শ্রীঞ্জয় দাশগুপ্ত। বয়স মাত্র ২৮ বছর। তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যু তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ সকাল ৭টায় নিউটাউনে তাঁর বাসভবনে তাঁকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর প্রথমে নিউটাউনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে বিধাননগর উপ-জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে প্রাণবায়ু বেরিয়ে এসেছে। চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন শ্রীঞ্জয়কে।

সূত্রের খবর, মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়েও কোনোরকম আপত্তি ছিল না তাঁর। শহরের বাইরে থাকার কারণে গত মাসে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না পারলেও, সৃঞ্জয় বলেছিলেন যে তিনি এই বিবাহে সত্যিই খুশি। তাঁর মা অবশেষে এমন কাউকে খুঁজে পেয়েছেন যার সাথে তিনি বাকি জীবনটা বাঁচতে পারবেন, এটা ভেবেই ভালো ছিলেন সৃঞ্জয়। কিন্তু হঠাৎ কী এমন হল!

মর্মান্তিক ঘটনাটির পিছনে বড় কারণটি কী?

স্থানীয় লোকজনের দাবি, সোমবার একটি পার্টি চলছিল। তারপর এমন মর্মান্তিক ঘটনা। ওই পার্টির সঙ্গে এই ঘটনার মিল থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। অভিভাবকরা এখনও কিছু বলেননি, মুখ খোলেননি, বিভ্রান্তি বর্তমান। তবে প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। তিনি ওই বাড়িতে একা থাকতেন নাকি তার সঙ্গে অন্য কেউ থাকতেন তা এখনও জানা যায়নি।

আরও পড়ুন: ‘রক্ত ও জল একসঙ্গে বইতে পারে না’ যুদ্ধবিরতি-সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদীর

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে আরও কিছু তথ্য আশা করা হচ্ছে

পুলিশ জানিয়েছে, ঘরের বিছানায় সৃঞ্জয়ের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যেই মৃতদেহটি হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ, ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তাই এখনও পর্যন্ত আদতে কী ঘটেছে, তা স্পষ্ট করে বলা কঠিন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই সবটা জানা যাবে। এও জানা গিয়েছে যে পুলিশ এখনও রিঙ্কু মজুমদার বা মৃতের পরিবারের কোনও সদস্যের কাছ থেকে কোনোরকম আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পায়নি।

সঙ্গে থাকুন ➥