শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: ‘ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে’ – ভারত এখন 6G প্রযুক্তির (6g Technology India) ক্ষেত্রেও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি এক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে, কেন্দ্রীয় টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি বলেন যে দেশটি এখন পর্যন্ত ১১১টিরও বেশি 6G গবেষণা প্রকল্প অনুমোদন করেছে। সরকার এই প্রকল্পগুলির জন্য মোট ৩০০ কোটি টাকার তহবিল প্রকাশ করেছে। মন্ত্রীর মতে, ‘6G পেটেন্ট ফাইলিংয়ের ক্ষেত্রে ভারত এখন বিশ্বের শীর্ষ ছয়টি দেশের মধ্যে রয়েছে।’
6G প্রযুক্তি 5G এর চেয়ে ১০০ গুণ দ্রুত হবে
6G প্রযুক্তি টেরাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডে কাজ করবে, যা প্রতি সেকেন্ডে ১ টেরাবাইট পর্যন্ত ডেটা গতি নিতে পারে। এটি 5G এর চেয়ে প্রায় ১০০ গুণ দ্রুত বলে মনে করা হয়। এর ফলে ইন্টারনেটের গতি, সংযোগ এবং ডেটা স্থানান্তরে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন দেখা যাবে।
ভারত কি 6G-তে বিশ্বব্যাপী নেতা হয়ে উঠবে?
মন্ত্রী পেম্মাসানি আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করে বলেন যে ভারতের দক্ষ প্রকৌশলী এবং বিজ্ঞানীদের একটি বিশাল দল রয়েছে যারা দেশকে এই প্রযুক্তিতে বিশ্বনেতা করে তুলতে পারে। তিনি বলেন, ‘গবেষণা ও নতুন কিছু উদ্ভাবনের জন্য ভারতের কাছে পর্যাপ্ত সময় এবং সম্পদ রয়েছে, যা প্রযুক্তিগত স্বনির্ভরতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হবে।’ 6G প্রযুক্তি কেবল বিদ্যমান শিল্পগুলিতেই বড় পরিবর্তন আনবে না, বরং এটি অনেক নতুন শিল্পের জন্মও দেবে। অনুমান করা হচ্ছে যে ২০৩৫ সালের মধ্যে ভারতের অর্থনীতিতে 6G ১ ট্রিলিয়ন ডলার অবদান রাখতে পারে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী জন ধন অ্যাকাউন্ট থাকলে মিলবে ১০,০০০ টাকা! কিভাবে? জানুন পদ্ধতি
উত্তরপ্রদেশে একটি অত্যাধুনিক সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট নির্মিত হবে
১৪ মে, কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর প্রদেশের জেওয়ারে একটি নতুন সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট অনুমোদন করে। এই প্রকল্পটি এইচসিএল এবং ফক্সকনের সাথে অংশীদারিত্বে নির্মিত হবে এবং এতে ৩,৭০৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে এই প্ল্যান্টটি প্রতি মাসে ২০,০০০ ওয়েফার ইউনিট প্রসেস করবে, যা প্রায় ৩.৬ কোটি চিপ তৈরি করবে। এই পদক্ষেপ ভারতকে কেবল প্রযুক্তিগতভাবে স্বাবলম্বী করবে না বরং এটিকে একটি বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হবে।