শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: শহর থেকে শহরতলি ছুটেই চলবে রেল। তাও এসি পরিষেবা দেওয়া হবে এবার। এই মুহূর্তে সুখবর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের যাত্রীদের জন্য। রাজ্যের অন্যতম ব্যস্ততম রেল রুট হাওড়া এবং বর্ধমান রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যেও এবার এসি ট্রেন চালু হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। একবার চালু হলে, গরমের মাসগুলিতে রেল যাত্রাকে বদলে দেবে এসি লোকাল ট্রেন (Howrah Bardhaman AC Local)। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই ইএমইউ ট্রেনগুলি নিরাপদ এবং শীতল যাত্রা সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি, লোকাল ট্রেনে যাতায়াতও উন্নত করবে।
হাওড়া থেকে বর্ধমান এসি লোকাল (Howrah Bardhaman AC Local) ট্রেনের ভাড়া, রুট, দূরত্ব, ভ্রমণের সময়
- রুট: ট্রেনটি ব্যান্ডেল জংশন হয়ে চলাচল করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
- দূরত্ব: এটি প্রায় ০২:২৩ ঘন্টায় ১০৭ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে।
- স্টপেজ: লিলুয়া, বেলুর, বালি, উত্তরপাড়া, হিন্দ মোটর, কোননগর, রিষড়া, শ্রীরামপুর, সেওরাফুলি, বৈদ্যবাটি, ভদ্রেশ্বর, মানকুন্ডু, চন্দন নগর, চুচুরা, হুগলি, ব্যান্ডেল জংশন, সাগরগ্রাম, সাগরগ্রাম, সাংলান্ডু, সিমলাগড়, বাইনচিগ্রাম, বাইনচি, দেবীপুর, বাগিলা, মেমারি, রসুলপুর, শক্তিগড়, এবং গাংপুর।
- ভাড়া: যদিও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেন পরিষেবাগুলিতে প্রায়শই বেশি ভাড়া থাকে, ভারতীয় রেলওয়ে এই নতুন এসি লোকাল ট্রেনগুলিকে সাশ্রয়ী মূল্যের রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
হাওড়া থেকে বর্ধমান এসি ইএমইউ ট্রেনের কোচ সম্পর্কে
হাওড়া-বর্ধমান-হাওড়া এসি ইএমইউ ট্রেনে ১২টি কোচ থাকতে পারে। যথাক্রমে, ডিএমসি + টিসি + এমসি + টিসি + এনডিএমসি + টিসি + এমসি + টিসি + টিসি + এমসি + টিসি + ডিএমসি (ডিএমসি- ড্রাইভার মোটর কোচ, টিসি – ট্রেলার কোচ, এমসি- মোটর কোচ, এনডিএমসি- ড্রাইভারবিহীন মোটর কোচ)।
হাওড়া থেকে বর্ধমান এসি ইএমইউ ট্রেনের যাত্রী আসন কটি হতে পারে?
হাওড়া থেকে বর্ধমান পর্যন্ত এসি লোকাল ট্রেনে মোট ১১১৬ জন যাত্রীর আসন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই সঙ্গে জানা গিয়েছে যে ৩৭৯৮ জন যাত্রী স্ট্যান্ডি হিসেবেও ভ্রমণ করতে পারবেন। য
আরও পড়ুন: বাংলার ৩ স্টেশন ‘নয়নমণি’ ভারতীয় রেলের! দেওয়া হবে এই বিশেষ সম্মান
মনে রাখবেন, প্রায় পঁচানব্বই কিলোমিটার দীর্ঘ, হাওড়া-বর্ধমান রুটটি পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম ব্যস্ততম এবং গুরুত্বপূর্ণ শহরতলির রেলপথ হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে। হাওড়া স্টেশন, কলকাতার প্রধান রেল প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে, এই অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক, শিক্ষামূলক এবং সাংস্কৃতিক শহর বর্ধমানের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। এই রেল করিডোরটি অফিস কর্মচারী, শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় বাসিন্দা সহ হাজার হাজার দৈনিক যাত্রীদের পরিষেবা প্রদান করে, যা এটিকে অঞ্চলের অর্থনীতি এবং সামাজিক কার্যকলাপের জন্য একটি জীবনরেখা করে তোলে। আর বর্তমানে, এই রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলি মূলত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নয়, যা প্রায়শই গ্রীষ্মের শীর্ষ মাসগুলিতে অস্বস্তির কারণ হয়। এর ফলে আধুনিক, আরও আরামদায়ক যাত্রী পরিবহনের বিকল্পগুলির জন্য তীব্র চাহিদা তৈরি হয়েছে।