কড়া নজরদারিতে চিন-পাকিস্তান সীমান্ত, ৩৮টি উচ্চ প্রযুক্তির স্যাটেলাইট পাবে ভারতীয় সেনা

Indian Satellite System

কড়া নজরদারিতে চিন-পাকিস্তান সীমান্ত, ৩৮টি উচ্চ প্রযুক্তির স্যাটেলাইট পাবে ভারতীয় সেনা

Shree Bhattacharjee

Published on:

শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: অপারেশন ‘সিঁদুর’-এর সাফল্যের পর, ভারতের নিরাপত্তা কৌশল আরও জোরদার করা হচ্ছে। বিশেষ করে চিন ও পাকিস্তান সীমান্তে, নজরদারি ব্যবস্থাকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করছে ভারত। ইসরো আগামী পাঁচ বছরে সেনাবাহিনীকে ৩৮টি উপগ্রহ (Indian Satellite System) সরবরাহ করবে জানা গিয়েছে। এগুলো শত্রুর প্রতিটি গতিবিধির উপর ২৪×৭ নজরদারি সক্ষম করবে।

৩৮টি উপগ্রহ সেনাবাহিনীর জন্য বিশেষ!

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ৫২টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৮টি উপগ্রহ সেনাবাহিনীর নজরদারি এবং কৌশলগত চাহিদার জন্য একচেটিয়াভাবে কাজ করবে। এগুলো এমনভাবে মোতায়েন করা হবে যাতে ১৫,১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ চিন ও পাকিস্তান সীমান্ত সম্পর্কিত কার্যকলাপের সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়।

অপারেশন সিঁদুরে স্যাটেলাইটের ভূমিকা ছিল বড় (Indian Satellite System)

সূত্রের মতে, “অপারেশন সিঁদুরের সময়, সন্ত্রাসী শিবিরগুলিতে নির্ভুল হামলা থেকে শুরু করে সীমান্ত পর্যবেক্ষণ এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে গোপন যোগাযোগ, সবকিছুতেই ISRO-এর ১০টি উপগ্রহ অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিল।” কার্টোস্যাট সিরিজের উপগ্রহগুলি সন্ত্রাসীদের আস্তানাগুলিকে লক্ষ্য করে এবং পরবর্তীতে ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়নে সহায়তা করেছিল। আর RISAT উপগ্রহগুলি শত্রুর রাডার কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করেছিল।

আরও পড়ুন: ১৮ বছর হলেই সরকারি প্রকল্পে বড় সুযোগ, বার্ষিক ২০ টাকা দিয়ে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমা পাবেন আপনিও! কীভাবে?

গোপন যোগাযোগ থেকে শুরু করে রিয়েল-টাইম ইন্টেল

ইসরোর GSAT-7 এবং GSAT-7A-এর মতো উপগ্রহগুলি ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর মধ্যে নিরাপদ যোগাযোগ নিশ্চিত করে। উপরন্তু, নাভিক সিস্টেমে সজ্জিত ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং বিমানগুলি এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট অপারেশনে সক্ষম হয়ে উঠছে।

দুর্গম সীমান্ত রক্ষা হবে

আজও, ভারতের অনেক সীমান্ত রয়েছে যেখানে বেড়া দেওয়া যায় না এবং স্থায়ীভাবে সৈন্য মোতায়েন করা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে, স্যাটেলাইট বা উপগ্রহের সাহায্যে দুর্গম এলাকার পর্যবেক্ষণ এখন আরও সম্ভব এবং নিরাপদ হয়ে উঠবে।

সঙ্গে থাকুন ➥