শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: দেশে সর্বাধিক ব্যবহৃত নোট হয়ে উঠেছে ১০০ টাকার নোট (Indian Currency Notes)। কিন্তু এর সাথে সাথে জাল নোটের প্রচলনও বাড়ছে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) সম্প্রতি জাল ১০০ টাকার নোটের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা জারি করেছে। আপনি একজন ভারতীয় হলে, আপনারও এ প্রসঙ্গে জানা উচিত। আরবিআই জনগণের জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা করেছে, যাতে মানুষ সহজেই জাল এবং আসল ১০০ টাকার নোটের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেন। কারণ সচরাচর জাল ১০০ টাকার নোট দেখলে বুঝবেন না যে কোনটি আসল ও কোনটি নকল। তাহলে এখানে জানুন কীভাবে আসল ও নকল ১০০ টাকার নোট শনাক্ত করবেন!
না জেনে জাল নোট ব্যবহার করে ফেললেও বিপদ!
ভারতীয় আইন অনুসারে জাল নোট ব্যবহার বা বাজারে নিয়ে চালানোও একটি গুরুতর অপরাধ। যদি কোনও ব্যক্তি জেনেশুনে জাল নোট ব্যবহার করেন, তাহলে তাঁকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হতে পারে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৮৯এ থেকে ৪৮৯ই ধারায় নকল কারেন্সি সংক্রান্ত অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। এর জন্য সর্বনিম্ন ৭ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
- কীভাবে আসল ও নকল ১০০ টাকার নোট শনাক্ত করা যায়!
- আসল ১০০ টাকার নোটে, উল্লম্ব ব্যান্ড এবং গান্ধীর ছবির মাঝখানে RBI এবং ১০০ লেখা আছে।
- আসল ১০০ টাকার নোটে নিরাপত্তা থ্রেডে ভারত এবং আরবিআই শব্দগুলি রয়েছে, যা বিভিন্ন কোণ থেকে দেখলে নীল এবং সবুজের মধ্যে রং পরিবর্তন করে।
- আসল ১০০ টাকার নোটটিতে ওয়াটারমার্কের কাছে উল্লম্ব ব্যান্ডে ফুলের নকশা রয়েছে।
- আসল ১০০ টাকার নোটটিতে ওয়াটারমার্কের জায়গায় ১০০ নম্বর সহ মহাত্মা গান্ধীর ছবি প্রদর্শিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রত্যেক ভারতীয়ের ফোনে থাকা উচিত এই ৭টি সরকারি অ্যাপ, সহজ হয়ে উঠবে জীবন
প্রসঙ্গত, বাজারে ব্যাপকভাবে জাল ১০০ টাকার নোট ছড়িয়ে পড়ার কারণে এবং সাধারণ মানুষের এই নোটগুলো শনাক্ত করতে অসুবিধা হচ্ছে, তাই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এই পদক্ষেপ নিয়েছে। আরবিআই স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে জাল নোটের প্রচলন কেবল ব্যক্তিগত ক্ষতিই করে না। দেশের অর্থনীতিরও ক্ষতি করে। অতএব, প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব হল জাল নোট শনাক্ত
করা। জাল নোটের প্রচলন বন্ধে অবদান রাখা।