পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফের একবার উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। শেখ হাসিনার পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তথা নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসই (Muhammad Yunus) দেশ চালাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে। কিন্তু এবার তাঁর পদত্যাগ নিয়েই গত কয়েকদিন ধরে চলছে জোর চর্চা। সেনাবাহিনী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়ে চাপ বাড়িয়েছে ইউনূসের ওপর। বিএনপি-সহ বিরোধী দলগুলিও দ্রুত ভোটের দাবিতে সরব। এই পরিস্থিতিতে ইউনূস সত্যিই ইস্তফা দিতে চান, নাকি এর আড়ালে রয়েছে আরও বড় কোনও পরিকল্পনা? তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।
ইস্তফা নিয়ে নাটক – দাবি কূটনৈতিক মহলের
ইউনূস ঘনিষ্ঠ মহলে ইস্তফার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও, তাঁর সহকারীরা স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছেন, যে তিনি পদত্যাগ করছেন না। উপদেষ্টা পরিষদের সাম্প্রতিক বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, ইউনূস তাঁর পদে বহাল থাকছেন। উপদেষ্টারা বলছেন, নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়েই হবে আর তার তারিখ ঘোষণার অধিকার একমাত্র প্রধান উপদেষ্টার হাতেই রয়েছে।
অনেকের মতে, এই পদত্যাগের প্রচার আসলে একটি কৌশল। ইউনূস ছাত্রনেতা, জামায়াতে ইসলামীর মতো গোষ্ঠীগুলিকে পাশে টেনে ও তাদের একজোট করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইছেন। তাঁর পদত্যাগের গুঞ্জন আসলে চাপের রাজনীতি, যাতে সেনাবাহিনী ও বিরোধীদের উপর পাল্টা চাপ সৃষ্টি করা যায়।
সেনা-বিএনপি চাপে বাড়ছে রাজনৈতিক অস্থিরতা
বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ অস্থির। সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতার প্রশ্নে কোনও আপস করা হবে না। রোহিঙ্গা করিডর নিয়ে সরকারের প্রস্তাবিত পরিকল্পনাতেও সেনাবাহিনীর প্রবল আপত্তি রয়েছে। অন্যদিকে, বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দল ডিসেম্বরের মধ্যে যতটা সম্ভব দ্রুত নির্বাচন চায়। যদিও তারা ইউনূসের পদত্যাগের দাবি তোলেনি, তবে নির্বাচন নিয়ে চাপ বজায় রেখেছে।
আরও পড়ুনঃ ‘দাদাগিরি’ শেষ সৌরভের! কে হবেন নয়া সঞ্চালক? উঠে এল এই নামগুলি …
এমতাবস্থায় ইউনূসের পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। তবে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর স্পষ্ট হয়েছে, ইউনূস আপাতত পদত্যাগ করছেন না। বরং সরকারকে আরও সক্রিয় ও কার্যকর করার বার্তা দিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা।