শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার শর্মিষ্ঠা পানোলির (Sharmistha Panoli) গ্রেফতার নিয়ে তোলপাড় চলছে। এখন কলকাতা পুলিশ শর্মিষ্ঠার গ্রেফতারের বিষয়ে একটি স্পষ্টীকরণ জারি করেছে। কলকাতা পুলিশ ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার শর্মিষ্ঠা পানোলির গ্রেফতারের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছে যে আইনি ব্যবস্থা তার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য নয়, বরং একটি ভিডিও শেয়ার করার অভিযোগে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে যে তার পোস্ট ধর্মীয় বিশ্বাসকে অবমাননা করেছে এবং সাম্প্রদায়িক ঘৃণা প্রচার করেছে।

‘পাকিস্তান বিরোধী কোনও বক্তব্যের জন্য এই গ্রেপ্তার করা হয়নি…’

১৫ মে গার্ডেন রিচ থানায় পানোলির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পুলিশের মতে, প্রশ্নবিদ্ধ ভিডিওটি ‘ভারতের এক শ্রেণীর নাগরিকের ধর্মীয় বিশ্বাসকে অবমাননাকর এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা প্রচারকারী’ বলে প্রমাণিত হয়েছে। কলকাতা পুলিশের মতে, শর্মিষ্ঠা পানোলিকে ‘পাকিস্তান বিরোধী কোনও বক্তব্য’ দেওয়ার জন্য বা ‘দেশপ্রেম প্রকাশের’ জন্য নয়, বরং ‘ঘৃণা ছড়ায় এমন আপত্তিকর বিষয়বস্তু পোস্ট করার’ জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে।

‘বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হয়েছে’

কলকাতা পুলিশ আরও জানিয়েছে, ‘বিএনএসএসের ধারা ৩৫ এর অধীনে অভিযুক্তকে নোটিশ দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু প্রতিবারই সে নিখোঁজ ছিল।’ এর পর আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। দিনের বেলায় তাকে হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হলে, তিনি তাঁর ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অবশেষে, তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। পুলিশ আরও বলেছে, ভারতের যে কোনও ধর্মীয় ব্যক্তি বা সম্প্রদায় বা যে কোনও শ্রেণীর নাগরিককে লক্ষ্য করে ঘৃণামূলক বক্তব্য দণ্ডনীয় অপরাধ।

আরও পড়ুন: চলতি মাস থেকে শিয়ালদা-লালগোলা লাইনের ট্রেনে বিরাট বদল

পোস্টে শর্মিষ্ঠা (Sharmistha Panoli) কী আসলে বলেছিলেন?

শর্মিষ্ঠা তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে অপারেশন সিন্দুর সম্পর্কিত একটি ভিডিও শেয়ার করেন এবং বলিউডের ‘তিন খান’-এর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্কিত মন্তব্যও করেন। জানা যায়, তিনি একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায় সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্যও দিয়েছিলেন, যা তাঁকে সমস্যায় ফেলে। এমনকি নাকি শর্মিষ্ঠা কিছু অশালীন ভাষাও ব্যবহার করেছিলেন। তবে বিতর্ক আরও তীব্র হওয়ার পর তিনি এই পোস্টটি মুছে ফেলেন। কিন্তু ততক্ষণে, তাঁর ভবিষ্যৎ দাঁড়িয়ে পড়েছে কাঠগড়ায়।