শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: ভারতের বিখ্যাত শহর আগ্রা। মুঘল সম্রাট আকবর এবং তার উত্তরসূরি জাহাঙ্গীর ও শাহজাহানের সময় আগ্রা মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। আজ আমরা আপনাকে তাজমহল সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য জানিয়ে দেব, যা অনেকেই জানেন না। তাজমহল উত্তর প্রদেশের একটি বিখ্যাত সমাধিসৌধ। এটি ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত। তাজমহল তার বিশ্বখ্যাতির জন্য পরিচিত। এটি ভারতের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র। এই সমাধিটি মুঘল সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী মমতাজ মহলের স্মরণে নির্মিত হয়েছিল।
তাজমহল তৈরি করতে কত বছর সময় লেগেছিল?
তাজমহল তৈরি করতে মোট সময় লেগেছে প্রায় ২২ বছর। নির্মাণ কাজ ১৬৩২ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয় এবং ১৬৫৩ খ্রিস্টাব্দে সম্পন্ন হয়। এই সময়, প্রায় ২০,০০০ শ্রমিক, কারিগর, স্থপতি এবং কারিগর অবদান রেখেছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে অত্যন্ত পরিশ্রম ও পরিশ্রমের সাথে নির্মিত হয়েছে এই নিখুঁত স্থাপত্যের মাস্টারপিস। ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি পায় তাজমহল।
তাজমহল তৈরির কারিগর কে ছিলেন?
মূলত কারিগরদের একটি বিশাল দল নির্মাণ করেছিল তাজমহল। প্রধান স্থপতি এবং নির্মাতা ছিলেন ওস্তাদ আহমেদ লাহৌরি, একজন আদর্শ মুঘল স্থপতি যিনি তাজমহলের খোদাই এবং নির্মাণকাজ দেখাশোনা করেছিলেন। তিনি তাজমহলের অনন্য স্থাপত্য শৈলী তৈরি করেছিলেন এবং মুঘল সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় শৈলীকেও অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। এছাড়াও, অন্যান্য কারিগররাও এই কাজে জড়িত ছিলেন, যারা তাঁর সম্মানিত সহকারী ছিলেন এবং নির্মাণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: আম্বানি পরিবারের একদিনের আয় কত? জানলে আকাশ থেকে পড়বেন
তাজমহলের আসল নাম কী? Taj Mahal Real Name
তাজমহলের আসল নাম রওজা-ই-মুনাওয়ারা। প্রথমে মুমতাজ বেগমের সমাধিস্থল হিসেবে তাজমহলের নির্মাণকাজ শুরু হলেও পরে মসজিদ, অতিথিশালা, প্রধান প্রবেশদ্বার এবং বাইরের উঠোনসহ অন্যান্য স্থাপত্য নির্মাণ করা হয় এই স্থানে। তাজমহলের অর্থ “ক্রাউন টম্ব” বা “ক্রাউন প্যালেস”। পারস্য, অটোমান, ভারতীয় এবং ইসলামিক স্থাপত্যশৈলীর মিশ্রণে নির্মিত এই স্মৃতিস্তম্ভটি সাদা মার্বেল দিয়ে তৈরি এবং এর জটিল কারুকার্য, ক্যালিগ্রাফি, উদ্যান এবং জলাশয়ের সাজসজ্জা আজ বিশ্ব বিখ্যাত।
