শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে যাদের মস্তিষ্ক বিভিন্নভাবে কাজ করে। এমন পরিস্থিতিতে তারা এমন কিছু করে যা মানবজাতির জন্য ইতিহাস হয়ে যায়। পাহাড় কেটেও একই রকম কিছু করা হয়েছে, যাতে যানজটে কোনও সমস্যা না হয়। কিন্তু, এটি করতেও অনেক সময় লাগে। তাই, সড়ক যোগাযোগ বা রেল যোগাযোগ জোরদার করার জন্য টানেল তৈরি করা হয়। বিশ্বজুড়ে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে পাহাড় কেটে টানেল তৈরি করা হয়েছে যাতে পরিবহনে কোনও সমস্যা না হয় এবং মানুষ সহজেই তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে।
বিশ্বের দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ (Longest Tunnel) কোথায় অবস্থিত?
ট্রেন ভ্রমণ হোক বা সেখানে ভ্রমণ, আপনি নিশ্চয়ই এমন অনেক সুড়ঙ্গ অতিক্রম করেছেন যা আপনাকে কম সময়ে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে নিয়ে যায়। পাহাড় কেটে তৈরি পথকে সুড়ঙ্গ বলা হয়। আজ আমরা আপনাকে বিশ্বের দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি যা এত দীর্ঘ যে আপনি এতে প্রবেশ করার সাথে সাথেই আপনার মনে হবে যেন আপনি অন্য জগতে পৌঁছে গিয়েছেন।
গথার্ড বেস টানেল
প্রকৃতপক্ষে, বিশ্বের দীর্ঘতম রেল টানেল হল গথার্ড বেস টানেল যা সুইজারল্যান্ডের আজদ পর্বতমালার নীচে নির্মিত। এর দৈর্ঘ্য ৫৭.১ কিলোমিটার। এই টানেলটি ইউরোপের উত্তর এবং দক্ষিণ অংশকে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত করে। সুড়ঙ্গটির সর্বোচ্চ গভীরতা ২,৪৫০ মিটার (৮,০৪০ ফুট)। এই টানেল তৈরি করতে ১২ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা) খরচ হয়েছে বলেও জানা যায়।
আরও পড়ুন: সমুদ্রের মাঝে মাত্র ২ স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ, নাম জানেন!
এই সুড়ঙ্গটি তৈরি করতে প্রায় ১৭ বছর সময় লেগেছে, যার জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এর নির্মাণকাজ ২০১৬ সালে সম্পন্ন হয়। ট্রেনটির গতি ঘণ্টায় ২০০ থেকে ২৫০ কিলোমিটার। এই সুড়ঙ্গটি কেবল দৈর্ঘ্যেই নয়, গভীরতায়ও বিশ্বমানের। যার কারণে এটিকে বিশ্বের গভীরতম রেলওয়ে সুড়ঙ্গও বলা হয়। যাত্রীবাহী ট্রেন ছাড়াও, প্রতিদিন প্রায় ২৬০টি মালবাহী ট্রেন এই সুড়ঙ্গ দিয়ে যাতায়াত করে। গণমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সুড়ঙ্গটি নির্মাণের সময় ৩.১ কোটি পাথর অপসারণ করতে হয়েছিল। এটি সুড়ঙ্গের কংক্রিট প্রস্তুত করতে ব্যবহার করা হয়েছিল।