কৃশানু ঘোষ, কলকাতাঃ ৩০ জুনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সরকারী কর্মীদের বকেয়া ২৫% মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মেটানোর নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ ২১ জুন হয়ে গেলেও, সেই নিয়ে কোনও উচ্চ-বাচ্য নেই সরকারের। যার ফলে কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রকট হচ্ছে রাজ্যের কয়েক লক্ষ সরকারি কর্মীর। আর এর মধ্যেই ডিএ নিয়ে পাওয়া গেল আরও এক দুঃসংবাদ, তৈরি হল নয়া আশঙ্কা (New Update About DA)। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
ডিএ নিয়ে তৈরি হল নয়া সংশয়!
রাজ্য সরকারের কর্মীদের যে ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ অর্থাৎ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার কথা ছিল, এবার সেই টাকার সবটা না পাওয়ার আশঙ্কা পাওয়া গেল বিভিন্ন সূত্র মারফত। ওই সূত্রগুলি অনুযায়ী, যারা এখনও সরকারি কর্মী হিসাবে কর্মরত, তাদের বকেয়া ডিএ–র ২৫ শতাংশ জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে (জিপিএফ)-এ জমা দেওয়ার প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে। যার ফলে ওই টাকার অনেকটা অংশ কিংবা পুরোটা পাওয়া নিয়ে কর্মীদের মনে তৈরি হয়েছে সংশয়।
সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়ার পরেই জোর কদমে কাজ শুরু হয়েছিল নবান্নের তরফ থেকে। নেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন পদক্ষেপ। শুরু হয়েছিল রাজ্যের সমস্ত সরকারী কর্মীদের পদ অনুযায়ী ডিএ-র হিসাব। অডিট করার পর পাওয়া গিয়েছিল ঋণ নেওয়ার খবরও। এবার সেই ঋণ নেওয়ার খবর সত্যি প্রমাণিত হল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নয়া রিপোর্টে। রাজ্য সরকারের সমস্ত কর্মীদের মোট ১০ হাজার কোটি টাকার ডিএ বাকি রয়েছে। জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই মোট ৪০০০ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে সরকার।
নেওয়া হল ৪০০০ কোটি টাকার ঋণ!
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে প্রাপ্ত সংবাদ অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন মাসেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দু’দফায় সিকিউরিটিজ এবং ২০ বছরের মেয়াদি বন্ডের নিলাম করে ২২ বছরের জন্য ৭.১০৯৬ শতাংশ সুদের হারে মোট ৪০০০ কোটি টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছে। তবে, এই ঋণ ডিএ মেটানোর জন্যই নেওয়া হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে নবান্নের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।