শ্রীজিতা ঘোষ, কলকাতা: পটনা রেলস্টেশনে (Patna Railway Station Viral Video) টিকিট বিক্রির (Ticket Selling) নামে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগে এক মহিলা রেলকর্মীকে সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এক তরুণের হাত ধরে পুরো বিষয়টি সামনে আসছে। এই তরুণ যাত্রীটি তাঁর মোবাইলের ক্যামেরায় একটি ভিডিয়ো করেন। এবং তাই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral Video)।

ভিডিয়োতে কী দেখা যাচ্ছে?

ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, এক তরুণ যাত্রী পটনা স্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এরপর তিনি মোবাইল ফোনে ভিডিয়ো রেকর্ড চালু করে ওই টিকিট কাউন্টারে যান এবং উজ্জয়িনী (Ujjain) যাওয়ার জন্য দুটি টিকিটও (Train Ticket) চান তিনি। অভিযোগ, নির্ধারিত ভাড়ার (প্রতি টিকিট ৬৫০ টাকা) বদলে রেলকর্মী (Railway Worker) প্রথমে তাঁর থেকে ৮৪০ টাকা দাবি করেন। তিনি আপত্তি জানালে পরে ৬৮০ টাকা নেওয়া হয়, অর্থাৎ দুটি টিকিটে ৩০ টাকা করে অতিরিক্ত নেওয়া হয়।

যাত্রী যখন অতিরিক্ত টাকার কারণ জানতে চান, তখন রেলকর্মীকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি সুপার যোগ করে টিকিট কেটেছি, তাই দাম বেশি।’ এরপর তিনি চলে যান এবং ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন।

কোথায় আপলোড করেছে এই ভিডিয়ো?

এই ভিডিয়োটি ‘বিহার_সে_হ্যায়’ (Bihar_se_hai) নামে এক্স হ্যান্ডল (পূর্বতন টুইটার) থেকে শেয়ার করা হয় এবং মুহূর্তে ভাইরালও হয়ে পড়ে। সেই ভিডিয়োর লিঙ্ক ভিডিয়োটি দেখে বহু নেটাগরিক ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং অভিযুক্ত কর্মীর কঠোর শাস্তির দাবি তোলেন।

এই ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, ‘ডিআরএম দিনাপুর’ নামক এক্স হ্যান্ডল থেকে জানানো হয়েছে, ওই মহিলা রেলকর্মীকে দ্রুত সাসপেন্ড করা হয়েছে। ‘রেলওয়েজ সেবা’ নামক যাত্রী সহায়তা কেন্দ্রিক সরকারি এক্স হ্যান্ডল থেকেও বিষয়টি শেয়ার করা হয়।

তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, ভিডিয়োর সত্যতা এবং সম্পূর্ণ ঘটনার পূর্ণ তদন্ত শেষ হয়নি। সংশ্লিষ্ট রেল কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দেখছে, আদৌ নিয়ম লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রেলের (Indian Railways) মতো এক গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবায় এই ধরনের ঘটনা একেবারেই কাম্য করা যায় না। নিত্যদিন প্রচুর সংখ্যক মানুষ রেল পরিসেবা নিয়ে থাকেন। সে জায়গায় দাঁড়িয়ে যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। যদিও কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে বলে এখনও অবধি খবর আসছে। তবে শুধু সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিয়োটি তুমুল ভাইরাল হয়েছেএবং সবাইই অভিযুক্তের যথাযথ শাস্তি চাইছে।

ঘটনার তদন্ত চলছে

উজ্জয়িনী যাওয়ার টিকিটের জন্য নির্ধারিত ৬৫০ টাকার বদলে ৮৪০ টাকা দাবি করা হয়েছে, পরে আপত্তির পর ৬৮০ টাকা নেওয়া হয়েছে, অর্থাৎ ৩০ টাকা অতিরিক্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এমন টাকা চাওয়ার কারণ কী তা নিয়েই সরব হয়েছিলেন ওই তরুণ আর তাঁর এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে রেল মন্ত্রক। কিন্তু এখানে উঠছে আর এক প্রশ্ন সত্যিই সুপারের টিকিট দেননি তো ওই রেলকর্মচারী! কারণ তিনি দাবি করেছিলেন, ‘সুপার যোগ করে টিকিট কেটেছি, তাই দাম বেশি’। ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পর রেল কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। মহিলা কর্মীকে সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

সতর্কতা:

ভিডিয়োর সত্যতা আমাদের চ্যানেল যাচাই করেনি। অর্থাৎ, এখনও এটি সম্পূর্ণ প্রমাণিত নয় যে ওই কর্মী ইচ্ছাকৃত দুর্নীতি করেছেন।