টাটার হাত ধরে রাজ্যে ২৫ হাজার কর্মসংস্থান, নিউটাউনে বিশাল IT সেন্টার খুলছে TCS

Mamata Banerjee on TCS

টাটার হাত ধরে রাজ্যে ২৫ হাজার কর্মসংস্থান, নিউটাউনে বিশাল IT সেন্টার খুলছে TCS

Srijita Ghosh

Published on:

শ্রীজিতা ঘোষ, কলকাতা: রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বড়সড় সাফল্য। কলকাতা লাগোয়া নিউ টাউনের বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালিতে (Silicon Valley) টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (Tata Consultancy Services / TCS) তাদের নতুন অফিস ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে চলেছে। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এক্স-এ পোস্ট করে জানিয়েছেন, নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (NKDA) ইতিমধ্যেই প্রকল্পটির (Mamata Banerjee on TCS) প্রথম পর্যায়ের জন্য ২০ একর জমি বরাদ্দ করেছে।

দুটি পর্যায়ের নির্মাণ পরিকল্পনা-

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় জানানো হয়, দু’টি পর্যায়ে (Phase) গড়ে উঠবে এই প্রকল্প। প্রথম পর্যায়ে, নির্মিত হবে একটি ১১ তলা অফিস টাওয়ার, যার আয়তন হবে ৯ লক্ষ বর্গফুট। এতে প্রায় ৫,০০০ জনের কর্মসংস্থান হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে, যুক্ত হবে আরও ১৫ লক্ষ বর্গফুট পরিকাঠামো। এর ফলে আরও ২০,০০০ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

প্রকল্পটি হলে কী লাভ হবে?

প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হলে TCS-এর এই নতুন ক্যাম্পাসে মোট ২৪ লক্ষ বর্গফুট অফিস স্পেস থাকবে এবং ২৫,০০০ জনের সরাসরি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এটাই হবে পূর্ব ভারতের অন্যতম বৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি ক্যাম্পাস।

আইটি হাবের রূপান্তর-

NKDA সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছ, তথ্যপ্রযুক্তি ও সংশ্লিষ্ট পরিষেবা এবং ডেটা সেন্টার ভিত্তিক শিল্পের জন্য নিউ টাউনের গুরুত্ব ক্রমশ বাড়ছে। গত তিন বছরে প্রায় ৩০টি প্রকল্পে সাড়ে ছ’লক্ষ বর্গমিটার জমি বরাদ্দ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সংস্থা।

মুখ্যমন্ত্রী কী বলেছেন?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘প্রথম পর্যায়ে, ১১তলা অফিস টাওয়ার-সহ ন’লক্ষ বর্গফুটের বিশ্বমানের পরিকাঠামো তৈরি করা হবে… দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১৫ লক্ষ বর্গফুট স্থান সংযুক্ত হবে… প্রকল্প শেষ হওয়ার পরে ২৫,০০০ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘যাঁরা ধারাবাহিক ভাবে বাংলাকে অপমান করেন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের অগ্রগতিকে তাচ্ছিল্যের চোখে দেখেন, তাঁদের কাছে আমরা কর্মদক্ষতার নজির দেখালাম।’ মুখ্যমন্ত্রী টুইটারে ঠিক কী বলেছেন তা এখানে তুলে ধরা হল-

Mamata Banerjee TCS
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট

এই প্রকল্প বাংলার ওপর কী প্রভাব ফেলবে?

এই প্রকল্পের মাধ্যমে পূর্ব ভারতের বৃহত্তম আইটি ক্যাম্পাসগুলির মধ্যে একটি গড়ে উঠবে। TCS-এর এই সম্প্রসারণ শিল্প-বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে। নিউ টাউন ও রাজ্যের অন্য প্রযুক্তি হাবগুলির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও বাড়বে। প্রসঙ্গত এখানে বলে রাখা ভালো রতন টাটা (Ratan Tata) পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সিঙ্গুরে (Ratan Tata Singur) একটি ছোট গাড়ির কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা করেছিলেন কিন্তু তা বাস্তবয়নের মুখ দেখেনি, এর কারণ সেখানকার মানুষ সেই সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে এবং তখনকার সরকারের প্ররোচনায় তাঁকে সেই প্রকল্পটি করতে দেয়নি। তিনি বেঁচে থাকাকালীন তাঁর পরিকল্পনাকে যাঁরা বাস্তবায়িত করতে দেননি, আজ তারাই TCS -কে বাড়াবার উদ্যোগ নিয়েছেন। এখন এটাই দেখার মমতা ব্যানার্জীর এই প্রকল্প কতটা বাস্তবায়ন হবে।

সঙ্গে থাকুন ➥