বাচ্চা মানে মনে করা হয় বাড়ির সব থেকে খুদে সদস্য। যার কাছে কোন কাজের চাপ থাকে না। সারাক্ষণই কার্টুন, খেলা এগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তবে একটু বড় হলেই পড়াশোনার চাপ অবশ্য বাড়তি যোগ হয়। তবে আজ ৯ বছর বয়সের এক শিশুর কথা বলব যার কাছে এসবের কোন গুরুত্ব নেই। সে চলে নিজের মর্জি মত। এই বয়সেই সে বিশ্বের সবচেয়ে খুদে ধনকুবের।
হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, তার সম্পত্তির পরিমাণ শুনলে আপনি আঁতকে উঠবেন। এই খুদে নাইজেরিয়ার বাসিন্দা। যার নাম মোহাম্মদ আউয়াল মুস্তাফা। বিশ্বের সবথেকে ছোট বিলিনিয়র হিসেবে জনপ্রিয় সে। এর কাছে বিলাসবহুল ঝাঁ-চকচকে বাংলো থেকে প্রাইভেট জেট প্লেন সব কিছুই রয়েছে। এমনকি প্রচুর বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে। আবার এই বয়সেই ইনস্টাগ্রামে তার ফ্যান ফলোয়ার্স সংখ্যা ৩০ হাজারেরও বেশি।
কখনো গাড়ির উপরে, আবার কখনো জেটপ্লেনে বসে, দামি জুতো, দামি পোশাক পরে ছবি তুলে পোস্ট করে সে। ফেরারি,রোলস্ রয়েজ, বেন্টলি ফ্লায়িং, স্পার রয়েছে তার জিম্মায়৷ আবার গুচি, ভার্সেসের মতো দামি দামি ব্র্যান্ডের পোশাক, সানগ্লাস, জুতো, ঘড়ি ছাড়া তার চলে না। এতটাই বড়োলোক সে। নিশ্চই আপনাদের মনে হচ্ছে এত পয়সা খুদে পাচ্ছে কোত্থেকে?
এই বাচ্চার অবস্থা ঠিক ওই কথার মতো ‘বাবার হোটেলের মালিক’, এর কারণ এই ছেলের বাবা নাইজেরিয়ার ধনী সেলিব্রেটি ইসমাইলিয়া মুস্তাফা। আর এই পিতাও কম যান না। ছেলেকে ৬ বছরের জন্মদিনেই উপহার দিয়েছিলেন রাজপ্রাসাদ সম ম্যানশন। ছেলে হলো তার প্রাণ, তাই যা চায় সেটাই ছেলেকে দিয়ে দেন এই বড়লোক বাবা।