বলিউডে বেশ কিছু বছর ধরে শাহরুখ খান ও সালমান খানের ধামাকার কোন ছবি মুক্তি পায়নি। আর এই বড় সিনেমার জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের ভক্তরা। ২০১৮ সালে ‘জিরো’ ছবি ফ্লপ হওয়ার পর আর কোন সিনেমায় দেখা যায়নি শাহরুখ খানকে। আবার সালমান খানের ‘রাধে’ ছবি বক্স অফিসে সে রকম ব্যবসা করতে পারেনি। আর তাই শাহরুখের ‘পাঠান’ ছবির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন অনুরাগীরা। ঠিক তেমনি সালমান খানের ‘টাইগার ৩ ‘ছবির জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন ভাইজানের ভক্তরা।
এ সিনেমাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন শাহরুখ খান। চলতি বছরের মে থেকে জুন মাসের মধ্যেই এই বিশেষ সিকোয়েন্সের শুটিং শুরু হবে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি সালমান খান এবং ক্যাটরিনা কাইফ তাদের অংশের শুটিং শেষ করে ফেলেছেন। এই ছবিতে অভিনেতা ইমরান হাসমি রয়েছেন। কিছুদিন আগেই স্পেনে পাঠান ছবির শুটিংয়ের পর টাইগার ৩ শুটিং আগে শেষ করবেন শাহরুখ, এমনটাই শোনা গিয়েছে। আবার সালমান খানকেও পাঠান ছবির একটি ক্যামিও চরিত্রে দেখা যাবে।
অর্থাৎ দুজনকে একে অপরের ছবিতে দেখতে চলেছেন দর্শকেরা। আর এখানেই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন উঠছে যে’করণ-অর্জুন’ ছবিতে প্রথমবার একসঙ্গে দেখা দেওয়া সালমান-শাহরুখ জুটি কি একই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে পারবে? তবে সেটি অবশ্য সময়ই বলবে। এখন অনেক দর্শকেরা এই বলিউডের সিনেমা দেখা বন্ধ করে দিয়েছে। আর যার ফলে বিশেষ করে বলিউডের খানদের সিনেমা সেরকম ভাবে ব্যবসা করতে পারছে না। আবার অনেকেই শাহরুখের পাঠান ছবি ইতিমধ্যেই বয়কটের ডাক দিয়েছে।
অনেকেই বলছেন যে শাহরুখ ইচ্ছাকৃতভাবে ছবির সাফল্যের জন্য জাতীয়তাবাদী চোলা পড়েছেন। কিন্তু কেউ তার দ্বারা প্রভাবিত হবেন না বলেও মন্তব্য করেছেন। বলাই বাহুল্য, এর আগে টিউবলাইট এবং জিরো ছবিতেও একে ওপরের ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু বক্সঅফিসে এই দুটো ছবি মুখ থুবড়ে পড়েছিল। যদিও পাঠান এবং টাইগার ৩-এর ভাগ্যে কি লেখা রয়েছে সেটি সিনেমা মুক্তির পরই বোঝা যাবে। প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালে ‘করণ অর্জুন’ ছবিটি সেই বছরে দ্বিতীয় বৃহত্তম হিট সিনেমা হয়েছিল। মাত্র ৬ কোটি টাকার তৈরি সিনেমা ৩৭ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল।