ব্রেকাপ,মোটিভেশন,লাইফস্টাইল,Break up,Motivation,Lifestyle

Moumita

ব্রেকাপের পরে ডিপ্রেশনে না ভুগে নিজেকে হাসিখুশি রাখুন, ভালো থাকুন পরিবারের সাথে, রইল টিপস

ভাঙা-গড়া নিয়েই তো আমাদের জীবন। অনেক সময় আমাদের জীবনের প্রিয় মানুষের থেকে আলাদা হতে হয়। এমতাবস্থায় যে কোনও সম্পর্ক ভেঙে যাওয়াই দুঃখজনক, বিশেষ করে তা যদি হয় প্রেমিক-প্রেমিকা বা মনের মানুষটির সাথে ব্রেক-আপ হয় তখন সামলানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। তবে ব্রেক-আপের পর পুরোনো ক্ষত নিয়ে বসে থাকলে তো মুশকিল। তবে ব্রেকাপ হয়েছে মানেই জীবন শেষ হয়ে গেছে এমনটা তো নয়, ব্রেকাপের পর কীভাবে নিজেকে এই অবসাদ থেকে বের করে আনবেন সেই নিয়েই আজকের এই প্রতিবেদন।

   

দুটো মানুষ একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করেন, একটা সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার জন্য এটুকুই পর্যাপ্ত নয়। একটা সম্পর্ককে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত নিয়ে যেতে হলে সেখানে প্রয়োজন অনেক কিছুর। অনেক সময় দেখা যায় দুটি মানুষ কাছাকাছি আসার বেশ কিছুদিন পর তাদের মধ্যে ছন্দ কাটছে। সম্পর্কে তিক্ততা বাড়তে থাকে, ফলে ভালোবাসা অবশিষ্ট থাকলেও ভালো থাকতে পারেননা তারা। এমতাবস্থায় আলাদা হওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকেনা সামনে। আর বিচ্ছেদের পর জীবনের ছন্দও যেন হটাত করে পাল্টে যায়। কিন্তু জীবন তো এরকমই হয় যেখানে উত্থানও থাকবে আবার পতনও থাকবে।

এমতাবস্থায় প্রথমে ভাবুন সম্পর্কটা টিকলোনা কেন? বেখেয়ালে নিশ্চয়ই ব্রেকাপ করেননি, পরিস্থিতি বুঝেই এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন আপনি। এরকম পরিস্থিতিতে নিজেকে বা অপরদিকের মানুষটিকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, বরং ভাবুন একসাথে থাকাকালীন দিনের শেষে কেউই ভালো ছিলেননা। ঠিক কী কী কারণে আপনি মানুষটিকে নিজের থেকে আলাদা করেছেন সেগুলো ভাবুন। এটুকু করলেই আপনি বুঝতে পারবেন এই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো না। তাই যা হয়েছে ভালোই হয়েছে।

১) ঘুরতে বেরোন

এবার মনকে বুঝিয়ে দিলেই তো মন ক্ষান্ত হবেনা। তার কাজই বিচ্ছেদের পর অবসাদ ডেকে আনা। আর এই মন ভালো করার জন্য ভ্রমণ অপেক্ষা ভালো কিছু হতে পারে না। বেরিয়ে পড়ুন বাড়ির বাইরে। সাথে ক্যামেরা থাকলে সেটাও নিয়ে নিন সাথে আর তা না থাকলেও মোবাইল তো রয়েছেই সাথে। মুঠোফোনে বন্দি করে নিন মুহুর্তগুলোকে। দেখবেন নিজের সঙ্গটা নিজেই বেশ উপভোগ করছেন আপনি।

২) বন্ধুবান্ধবদের সময় দিন

বিচ্ছেদের পর মানুষ সবচেয়ে বড়ো ভুল যেটি করে তা হলো একা থাকা। বেশিরভাগ মানুষই এই সময়টা একা থাকতে পছন্দ করে। কিন্তু গবেষণা বলছে এই সময়গুলো এমনসব মানুষের সাথে কাটানো উচিত যারা আপনাকে মানসিক সাপোর্ট দিতে পারবে। এমতাবস্থায় নিজের পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গ দিন, দেখবেন তাদের সাথে ব্যস্ত থাকায় বিচ্ছেদের বিষয়টা অতটাও মাথা চাড়া দিয়ে উঠছেনা। যদি মন চায় তো মনের কষ্টটাও ভাগ করে নিন তাদের সাথে। দেখবেন মনের ভার অনেকটাই নেমে গেছে এতে।

৩) পরিবারকে সময় দিন

পরিবার হলো আমাদের স্তম্ভ, এখানেই থাকেন আমাদের কাছের মানুষগুলি। নিজের খারাপ সময়টায় পরিবারের কাছে থাকুন। পরিবারকে নিয়ে আউটিং-এ যান। ডিনার বা লাঞ্চে যান বাড়ির লোকের সাথে। দেখবেন মনের ভেতরের জমে থাকা কষ্টটা অনেকটাই লাঘব হয়ে গিয়েছে‌।

৪) পছন্দের কাজ করুন

নিজে হয়তো ভালো গান করেন, ছবি আঁকেন, সময়ের অভাবে হয়তো এতোদিন হয়ে উঠতো না সেসব। পছন্দের কাজগুলোর সঙ্গে আবার যুক্ত করুন নিজেকে, দেখবেন ব্যস্ততায় ডুবে থাকলে পুরোনো ক্ষত অনেকটাই মলিন হতে শুরু করেছে।