ভারতে স্বাধীনতার পূর্বে দেশের পরিস্থিতি কেমন ছিল, কিংবা ব্রিটিশদের কবল থেকে দেশকে উদ্ধার করতে বিভিন্ন যোদ্ধা কী ভাবে নিজেদের প্রাণকে কী ভাবে বিসর্জন দিয়েছেন তা বরাবর ফুটে উঠেছে বহু দেশাত্মবোধক সিনেমায়। শুধু বর্হিশত্রুই নয়, অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যা নিয়ে লড়াইয়ের কথা নানান ছবির মাধ্যমে উঠে এসেছে নানান সময়।
এই ছবিগুলির মধ্যে একটি হলো ১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তিরঙ্গা’। যা সুপরিচিত প্রযোজক-পরিচালক মেহুল কুমার পরিচালনা করেছিলেন। রাজকুমার, নানা পাটেকার, মমতা কুলকার্নির মতো একাধিক তাবড় তাবড় অভিনেতাকে দেখা গিয়েছিলো এই ছবিতে। বলা বাহুল্য প্রত্যেক শিল্পীই মনপ্রাণ ঢেলে কাজ করেছিলেন এবং চরিত্রগুলিকে জীবন্ত করে তুলতে কোনো কসরত রাখেনি তারা। বিশেষ করে নানা পাটেকার এবং রাজকুমারের অভিনয় সত্যিই প্রশংসনীয় ছিল।
প্রসঙ্গত, রাজকুমার, নানা পাটেকর এবং মমতা কুলকার্নি ছাড়াও আরও একজন সুন্দরী এবং মোহনীয় অভিনেত্রীকে দেখা গেছিলো এই ছবিতে। বর্ষা উসগাঁওকর তার নাম। ‘তিরঙ্গা’ ছবিতে নানা পাটেকরের নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন বর্ষা। আজকের প্রতিবেদনে বর্ষা সম্পর্কেই কিছু অজানা তথ্য তুলে ধরবো পাঠককুলের কাছে।
৯০ এর দশকের সেরা অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন হলেন বর্ষা। একটা সময় ছোটো পর্দা বড়ো পর্দা দু জায়গাতেই চুটিয়ে কাজ করেছেন তিনি। তার কেরিয়ারের অন্যতম উল্লেখযোগ্য কাজ হলো ১৯৮৮ সালে সম্প্রচারিত ‘মহাভারত’। বি আর চোপড়ার জনপ্রিয় পৌরাণিক সিরিয়াল মহাভারতে উত্তরার চরিত্রে দেখা গেছিলো বর্ষাকে।
এরপর ১৯৯১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দুধ কা কর্জ’ ছবির হাত ধরে বড়ো পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। দীর্ঘ কেরিয়ারে রজনীকান্ত থেকে শুরু করে নানা পাটেকর, জিতেন্দ্র, জ্যাকি শ্রফ এবং মিঠুন চক্রবর্তী-র মতো তাবড় তাবড় অভিনেতাদের সঙ্গে পর্দা কাঁপাতে দেখা গেছে তাকে। তবে দূর্ভাগ্যের বিষয়, একাধিক ছবিতে কাজ করলেও আজও দর্শকদের কাছে রয়ে গেছেন কিছুটা অচেনা।
বলিউড কেরিয়ার সেইভাবে উড়ান নিতে না পারায় ২০০০ সালে সঙ্গীত পরিচালক রবি শর্মার ছেলে অজয় শর্মার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু সেই সুখও খুব বেশিদিন টেকেনি তার। তার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে এবং তার স্বামী অজয় শর্মাকে সমস্ত পৈতৃক সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়। বর্ষার বর্তমান সময়ের কথা বললে, এইমুহুর্তে বলিউডে সক্রিয় না থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক অ্যাকটিভ থাকেন তিনি। প্রায়শই নিজের ছবি ভিডিও শেয়ার করেন ভক্তদের সঙ্গে।