টলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা তিনি। আজকের দিনে হাতে গোনা যে কয়জন সুপারস্টার রয়েছে তার একদম উপরের দিকেই রয়েছে তার নাম। অভিনয় থেকে প্রযোজনা কিংবা রিয়েলিটি শো, সবকিছুই সমানতালে করে যাচ্ছেন। সঙ্গে আবার সাধারণ মানুষের দায়িত্ব। এক কথায় ব্যস্ততা তুঙ্গে। কথা হচ্ছে দীপক অধিকারী ওরফে দেবের।
আপাতত পুজোর ছবি ‘কাছের মানুষ’-এর প্রচার নিয়ে চূড়ান্ত ব্যস্ত নায়ক। দিনকয়েকের মধ্যেই মুক্তি পেতে চলেছে ছবটি। এরই মাঝে সময় বার করে মিডিয়ার সাথে খোশগল্পে মেতে উঠলেন দেব।
এইদিন এক সাক্ষাৎকারে বেশ খোলা মেজাজেই পাওয়া গেলো অভিনেতাকে। আসন্ন ছবি থেকে শুরু করে চলতি বছরের এশিয়া কাপ সবকিছু নিয়েই মেতে উঠলেন তিনি। জানা গেলো পরবর্তী প্রোজেক্ট ‘কাছের মানুষ’-এর জন্য ‘এশিয়া কাপ’ও মিস করতে রাজি তিনি। দেবের কাছে, কাজ কাজের জায়গায়, বাকি সব পরে। তবে এর মধ্যে ফাঁকা পেলে হয়তো বা ফাইনাল দেখতে যাবেন।
জেনে অবাক হবেন যে ইতিমধ্যেই ৫ বছরে ১২ টা ছবি তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। আর সবকটাই সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের ছবি। অভিনেতার পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবেও মানুষ তাকে গ্রহণ করছে তা বলাই বাহুল্য। কথাপ্রসঙ্গে উঠে এলো বলিউডের কথাও। যেখানে সব টলিউড তারকারাই মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাচ্ছে সেখানে তিনি এখনো মাটি কামড়ে পড়ে আছেন কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেতার সাফ জবাব, “আর আমি একটা কথা বিশ্বাস করি, বড় রাজ্যে প্রজা হওয়ার চেয়ে ছোট রাজ্যে রাজা হয়ে বেঁচে থাকা অনেক ভাল।”
প্রায় আড়াই বছর পর দেবের ব্যানারে পথিকৃৎ ছবি তৈরি করছেন। ইন্ডাস্ট্রির তাবড় তাবড় পরিচালকদের ছেড়ে হঠাৎ পথিকৃৎ-এর উপর কেন ভরসা করলেন এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেতা জানান, ” ইন্ডাস্ট্রিতে যে বড় বড় পরিচালকরা আছেন, তাঁরা আমার সঙ্গে কাজ করছিলেন না। যেমন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। আমি বলেছিলাম ‘উমা’ আমি করতে চাই। কৌশিকদাকেও বলেছিলাম আমি কাজ করতে চাই। যে সব পরিচালকের নামে টিকিট বিক্রি হয় তাঁরা আমায় সিরিয়াসলি নিচ্ছিলেন না। তখন সিদ্ধান্ত নিই, তা হলে আমি নতুনদের নিয়ে কাজ করি যাঁরা আমার সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।”
এইদিন নিজে প্রযোজনা করে যতটা আনন্দ ঝরে পড়লেও কোথাও কি একটু অক্ষেপর সুরও শোনা গেলো দেবের গলায়! অভিনেতার কথায় তার সিনিয়ররা আর তাকে নিয়ে কাজ করতে চান না। তারা তাদের পছন্দের লোককে নিয়ে ছবি করবেন। তবে তাতে তার বিশেষ যায় আসেনা। নিজের নতুন টিম নিয়ে বেশ খুশি তিনি। তা সে ‘কিশমিশ’-এর পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায় হোক বা অন্য কেউ। এখন দেখার বিষয় মানুষ তার ‘কাছের মানুষ’কে কতটা কাছের করে নেয়।