নেপোটিজম, ড্রাগ, মাদক দ্রব্য, যৌন হেনস্থা আর কী কী অভিযোগ উঠবে বলিউডের বিরুদ্ধে তার ইয়ত্তা নেই। ইতিমধ্যেই একাধিক তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেই সরব হয়েছেন এই বিষয়ে। মূলত সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই মাদক বিতর্কে সরগরম বলিউড। যদিও বলিউডের সঙ্গে মাদক যোগের সম্পর্ক আজকের নয়। তবে সম্প্রতি এই নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন যোগগুরু বাবা রামদেব।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মোরাদাবাদের এক জনসভায় উপস্থিত ছিলেন তিনি। সেখানেই এই বিষয়ে নিজের বক্তব্য রাখছিলেন রামদেব। মূলত ‘নেশামুক্ত ভারত’ ছিলো তার বক্তব্যের মূল পয়েন্ট। আর এই নিয়ে কথা বলতে গিয়েই রীতিমত কাঠগড়ায় দাঁড় করান গোটা বলিউড ইন্ডাস্ট্রিকে। এমনকি ছেড়ে কথা বললেননা সলমন-শাহরুখকেও।
যোগগুরুর কথা অনুযায়ী, বলিউডের সমস্ত তারকাই কমবেশি মাদক সেবন করে থাকে। অথচ এই মাদক দ্রব্য যে সমাজের উপর কী পরিমাণ সর্বনাশ ডেকে আনছে সেই সম্পর্কে কি তারা অবগত নয়—প্রশ্ন রামদেবের। যোগগুরুর কথায়, সবার কর্তব্য সিগারেট, মদ থেকে দূরে থাকা। এমতাবস্থায় কোনো আইন প্রণয়ন করে দেশকে নেশা মুক্ত করা যাবে বলে মনে করেননা তিনি। একমাত্র মানুষের চিন্তাভাবনাই সমাজকে এই সর্বগ্রাসী নেশা থেকে মুক্ত করতে পারে।
পাশাপাশি আর্যবীররা এই প্রসঙ্গে যে উদ্যোগ নিয়েছে তারও ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। এইদিন আর্যবীর এবং বীরাঙ্গনা কনফারেন্সে রামদেব বলেন, ‘সলমন খান ড্রাগস নেয়, আমি আমির খান সম্পর্কে জানি না। শাহরুখ খানের ছেলে ধরা পড়েছিল ড্রাগস নিতে গিয়ে এবং জেলেও ছিল। আর অভিনেত্রীদের কথা কী বলব! ভগবান ওদের ব্যাপারে ভালো জানে।’
যোগগুরুর মতে, সিনে ইন্ডাস্ট্রি থেকে রাজনীতি সবকিছুতেই এখন মাফিয়াদের রাজত্ব। আর তাদের হাত ধরেই সমাজে বিষের মতো ছড়িয়ে পড়ছে এই মাদক দ্রব্য। এছাড়াও নির্বাচনের সময়ে মাদকদ্রব্য বিলি করা হয় ভোটব্যাঙ্ক টানতে। এইদিন ‘নেশামুক্ত ভারত’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কোনো কথাই বলতে দ্বিধা করেননি তিনি।
এহেন বিতর্কিত মন্তব্য যে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হবে তা আর নতুন কী! তবে মানুষের থেকে নেগেটিভ নয় বরং পজেটিভ রেসপন্সই পাচ্ছেন যোগগুরু। হবে নাই বা কেন? উদ্যোগটাই এমন মহৎ যে মানুষ সমর্থন না করে পারেনা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতবছরই মাদক কেসে গ্রেফতার করা হয়েছিলো শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানকে। যদিও পরবর্তীকালে তাকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে তবে নামের পাশে একবার কালি লাগলে তা কি অত সহজে ওঠে?