বলিউডে (Bollywood) এমন অনেক তারকা আছেন যারা কেরিয়ারের শীর্ষে থাকতে থাকতেই অভিনয় ছেড়ে দিয়েছেন। বিশেষ করে, ৮০-৯০ এর দশকের অভিনেত্রীরা ৩০ পার হতে না হতেই অভিনয় জগত থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন নিজেদের। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ‘কুরবান’ ছবির নায়িকা আয়েশা জুলকার (Ayesha Jhulka) কথা।
অভিনেত্রীর কেরিয়ারের কথা বললে, খুব ছোট থেকেই নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। যদিও তার পরিবার ছিল এই সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধি। তবে আয়েশার এই জেদের কাছে কোনো আপত্তিই চলেনি। অবশেষে ১৯৯১ সালে ‘কুরবান’ ছবির হাত ধরে বি টাউনে পা রাখেন তিনি।
ম্যাসিভ হিট ছিল আয়েশার ডেবিউ ফিল্ম। তবে আয়েশার এই কেরিয়ারের মেয়াদ ছিল স্বল্প। এরপর আরো বেশকিছু ছবিতে অভিনয় করলেও আর সেই সাফল্য আসছিলনা। এমনকি ‘দালাল’ ছবির পর তো তার কেরিয়ার গ্রাফ নামতেই থাকে। এরপর একাধিক তারকার সাথে তার নামও জুড়তে থাকে।
দীর্ঘ ২৭ বছরের কেরিয়ারে মোট ৫২ টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন আয়েশা। আর এই সময় নানা পাটেকার, সলমন খান, মিঠুন চক্রবর্তী, অক্ষয় কুমারের মত তারকাদের সঙ্গে তার সম্পর্কের খবর রটেছিল। তবে এর কাউকেই বিয়ে করেননি তিনি। শেষমেষ বিয়ে করেন ব্যবসায়ী সমীর ভাশিকে।
এবং এখানেই ইতি টানেন ফিল্মি কেরিয়ারের। বিয়ের পর পুরোপুরিই অবসর নিয়ে নেন নায়িকা। যদিও পরে কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি তিনি নির্মাণ করেছেন। পাশাপাশি সম্প্রতি এক বিশেষ কারণে সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছেন। যেটা শুনলে আপনিও তাকে স্যালুট জানাবেন।
আসলে আয়েশা এবং সমীর নিঃসন্তান। তাই মোট ১৬০ টি শিশুর ভরণপোষণের দায়িত্ব নিয়েছেন তারা। গুজরাটের ২ টি গ্রামকে দত্তক নিয়েছেন তারা। এই শিশুগুলি সব এই গ্রামেরই সন্তান। সন্তানদের মুম্বাইতে এনে রাখতে না পারলেও মাঝে মাঝেই চলে যান গুজরাট। সময় কাটিয়ে আসেন দত্তক নেওয়া দুটি গ্রামের বাসিন্দাদের সাথে।