Papiya Paul

মোটা টাকার মাইনে ছেড়ে শুরু করেন খিচুড়ির ব্যবসা, এই মহিলার এখন বছরে ইনকাম কয়েক কোটি টাকা

নিউজশর্ট ডেস্কঃ বর্তমানে চাকরির বাজার খুবই খারাপ। তাই অনেক যুবক-যুবতী এখন ঝুঁকছেন ব্যবসার দিকে। আর কথাতেই আছে, একটি সফল ব্যবসা ১০০ চাকরির সমান। তবে যে কোন ব্যবসার জন্যই প্রয়োজন হয় কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠা। এই দুটি থাকলেই যে কোন ব্যক্তি সফলতা পেতে পারেন ব্যবসায়। আর আজ এমনই এক ব্যবসায়ী দম্পতির(Business Couple) গল্প(Success Story) শোনাবো আপনাদের। যারা নিজেদের দমে তৈরি করেছেন কোটি টাকার ব্র্যান্ড।

   

এই গল্প আভা সিংহল ও তাঁর স্বামী মহেন্দ্র কুমারের। ছকবাঁধা একঘেয়ে কাজ ছেড়ে নতুন কিছু করাই লক্ষ্য ছিল আভার। সেই মতন প্রথম জীবনে করেছিলেন মডেলিংও। তবে সেই ক্ষেত্রে পায়নি বিশেষ সফলতা। এরপরই তার মাথায় আসে ব্যবসার বুদ্ধি। এই বিষয়ে তার সহায়ক ছিলেন তার বাবা ও স্বামী। আবার ব্যবসায় তার স্বামী একজন পার্টনার বটে। ব্যবসায়িক পরিবারে জন্ম বলে, ছোট থেকেই ব্যবসার প্রতি একটা টান ছিল আভার।

এরপর শুধুমাত্র ইচ্ছে শক্তির ওপর ভর করে, মাত্র ২৩ বছর বয়সেই ঘর ছাড়ে আভা। প্রথমে মার্কেটিংয়ে MBA, তারপর ৫,০০০ রুপি নিয়ে পথচলা শুরু। মুম্বাইতে এক বন্ধুর সঙ্গে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তিনি। প্রথম জীবনে ২২ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করলেও তার লক্ষ্য ছিল নিজে কিছু করার। সেই মতনই চালু করেন তার ব্যবসা। নাম দেন ” খিচড়ি এক্সপ্রেস”। আর সেই ব্যবসাই এখন সফল, এক ব্র্যান্ড। আভার এই ক্লাউড কিচেন এবং রেস্টুরেন্ট চেইন এখন এক ব্র্যান্ড। তার কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু এখন ৫০ কোটি।

আসলে লন্ডনে গ্র্যাজুয়েশন পড়ার সময় থেকেই খিচুড়ির প্রতি এক ভালোবাসা জন্ময় আভার।তাড়াতাড়ি তৈরি হয় বলে আভা খিচুড়ি তৈরি করতেন। তিনি কলেজের কাছাকাছি থাকতেন। মাঝে মাত্র এক ঘণ্টার জন্য তিনি টিফিনের সময় পেতেন। খিচুড়ি তাড়াতাড়ি তৈরি হয় ও পেটও ভরে। এই কারনেই Mba করার সময় এই খিচুড়ি তৈরিতে পারদর্শী হয়ে ওঠেন আভা।

সেই জন্যই এই খিচুড়ি নিয়ে শুরু করেন নিজের ব্যবসা। তিনি ও তার স্বামী একসাথে ২০১৯ সালে হায়দ্রাবাদে ৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে শুরু করেন খিচড়ি এক্সপ্রেস। এখন বর্তমানে মুম্বই ও হায়দরাবাদে তাদের মোট ৮ টি শাখা রয়েছে। যা দাপটের সঙ্গে ব্যবসা করছে ভারতে।