Papiya Paul

গঙ্গাবক্ষে বেজে উঠল বিদেশের কণ্ঠ, ‘বাংলা হান্টে’র বোধন অনুষ্ঠানে গ্রীসের গায়িকার সুরে মাতোয়ারা সকলে

নিউজশর্ট ডেস্কঃ বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব(Durgapuja)। আর এই দুর্গোৎসবের সূচনা হয় মহালয়ায়। পিতৃপক্ষ শেষ হয়ে শুরু হয় মাতৃপক্ষের। মর্ত্যে আগমন ঘটে মা দুর্গার। আর এই মহালয়াকেই স্মরণীয় করতে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করল বাংলার জনপ্রিয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলা হান্ট'(Bangla Hunt)। বাংলার এই সবচেয়ে বড় ডিজিটাল মিডিয়া গঙ্গাবক্ষে আয়োজন করল এক জমকালো অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে অতিথিদের উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া।

   

রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট ক্রিয়েটার সকলেই উপস্থিত ছিল এই অনুষ্ঠানে। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন UNESCO প্রতিনিধিরা। সারা পৃথিবী থেকে আসা এই প্রতিনিধি দলও যোগ দিয়েছিলেন মাঝ গঙ্গার এই অনুষ্ঠানে। আর এই বিদেশ-বিদেশিনীদের উপস্থিতিতেই এক আলাদা মাত্রা পেয়েছিল এই অনুষ্ঠান। “এবার পুজো সবার পুজো” কথাটি হয়েছে উঠেছিল প্রাসঙ্গিক।

এই প্রসঙ্গে অবশ্যই বলা যায় “ধর্ম যার যার দুর্গাপূজা সবার”। এই উৎসব বিশ্ব বাংলার সকল মানুষের। আর এইদিন তারই বাস্তবিক উদাহরণ হয়ে রইল বাংলা হান্ট আয়োজিত এই অনুষ্ঠান। জাত, ধর্ম, বর্ণের ঊর্ধ্বে এই অনুষ্ঠানে মিলে গেল সকল সীমানা সকল সংস্কৃতির বিভেদ। আবারো প্রমাণিত হলো এ বিশ্বে সবকিছুই সম্পর্কিত। কলকাতার পড়ন্ত বিকেলে হাওড়া ব্রিজের নিচে, মাঝ গঙ্গায় লঞ্চের ওপর এই অনুষ্ঠান আমাদের দিয়ে গেল এক আলাদা অনুভূতি। সকল ক্লান্তি, হিংসা, বিভেদ সরিয়ে সকল মানুষ মেতে উঠলেন প্রাণোচ্ছল আনন্দে।

একদিকে যেমন মহিলা ঢাকির ঢাকের তালে কোমর দোলালেন সকলে তেমনি অন্যদিকে বিদেশিনীর সুরেও গলা মেলালেন সকলে। প্রাণের আনন্দে গাইলেন গান। তবে অনুষ্ঠানে আলাদাভাবে নজর কানলেন গ্রীস সঙ্গীতশিল্পী। গায়ে সাদা পোশাক, গলায় ওয়েস্টার্ন মিউজিকে মঞ্চ মাতালেন গ্রীস শিল্পী অ্যালেকজান্দ্রা। মাতৃপক্ষে তার সুরে মুখরিত হয়ে উঠল গঙ্গাবক্ষ।