সিনে ইন্ডাস্ট্রির তথাকথিত মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান নিজের ছবি নিয়ে এতোটাই খুঁতখুঁতে যে প্রতি ৩-৪ বছর অন্তর একটি ছবি করেন তিনি। তিনি হামেশাই কোয়ান্টিটির পরিবর্তে কোয়ালিটিতে বিশ্বাস করেন বলেই শোনা যায়। তবে সম্প্রতি, মুক্তি পাওয়া আমিরের ‘লাল সিং চাড্ডা’ দেশের বাজারে মুখ থুবড়ে পড়েছে। অর্থাৎ কোয়ালিটির কথা বললে এই ছবিটি ডাহা ফেল।
১৮০ কোটির এই ছবি দেশীয় বক্স অফিসে কোনওরকমে ৬০ কোটির চৌকাট পার করেছে। ছবিটি এরপর আরও কিছুদিন ব্যবসা করলেও নূন্যতম ১০০ কোটির লোকসানে চলছে বলে খবর। যেটা আমির খানের এই দীর্ঘ কেরিয়ারে ঘটেছে বলে মনে হয় না। পাশাপাশি ছবির অবস্থা দেখে সমস্ত OTT প্লাটফর্মও এখন হাত তুলে নিয়েছে।
যদিও কয়েক মাস আগেই এক নামি OTT প্লাটফর্ম থেকে বেশ মোটা টাকার অফার পেয়েছিলেন আমির। কিন্তু তিনি ভেবেছিলেন যে ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে আরও বেশি আয় করবে। কিন্তু মুক্তির পর দেখা গেলো ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা। যা নিয়ে তিনি এখন অনুশোচনা করছেন তো বটেই পাশাপাশি নাগা চৈতন্যের বলিউডে ভবিষ্যত গড়ার পরিকল্পনাও ভেস্তে গেছে।
চারিদিকে যখন আমিরের ‘লাল সিং চাড্ডা’ নিয়ে এত আলোচনা চলছে, সেখানে একপ্রকার চুপচাপই রয়েছেন অভিনেতা। ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর ছবির ফলাফল দেখে বেশ মর্মাহত তিনি। তিনটি আসন্ন প্রোজেক্ট ‘ধোবি ঘাট’, প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ রাও-এর ‘টু ব্রাইড’ এবং ছেলে জুনায়েদ খানের ‘প্রিতম পেয়ারে’ নিয়েও যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছেন তিনি। এই তিনটি প্রোজেক্টেই ক্যামিও চরিত্রে দেখা যাবে তাকে।
এমতাবস্থায় বয়কট ট্রেন্ড-এর এফেক্ট যে তার পরবর্তী ছবিগুলিতেও পড়বেনা তার কোনো গ্যারান্টি নেই। ছবির বিষয়বস্তু ভালো হলেও যে দর্শকদের রোষানল থেকে বাঁচা যাবে তা ভাবা ভুল। কারণ একটা পুরোনো বক্তব্যের জেরে চার বছর ধরে বানানো ছবি ফ্লপ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জলে গিয়েছে টিমের পরিশ্রম এবং বাজেট ১৮০ কোটি টাকা
সূত্রের খবর, এইসব কারণের জন্যই আমির শীঘ্রই অন্য পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ভূমিকা নিতে আগ্রহী নন। আমির ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন বর্তমান পরিস্থিতিকে ভালো করে না বুঝে আবার নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে নারাজ তিনি। এখন দেখা যাক লাল সিং চাড্ডা ফ্লপ তকমা ঘুচিয়ে কতটা ছন্দে ফিরতে পারেন আমির।