সব চেষ্টা ব্যর্থ করে আজ না ফেরার দেশে ঐন্দ্রিলা শর্মা। ইতিমধ্যেই অভিনেত্রীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁর কুদঘাটের বাড়িতে। সেখানেও প্রিয়তমাকে আঁকড়ে ধরে রয়েছেন সব্যসাচী। পাশাপাশি উপস্থিত হয়েছেন টলিপাড়ার অনেকেই। শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী জানাতে এসেছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও।
সূত্রের খবর, বিকেল ৫ টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ করা হয় ঐন্দ্রিলার মরদেহ। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর কুদঘটের বাড়িতে। শেষযাত্রার আগে রাজকুমারীর মত সাজানো হয় অভিনেত্রীকে। পরানো হয় বেনারসি শাড়ি, ঠোঁটে রঙ দিয়ে, গালে হালকা মেকাপ, সাজানো হয় তাঁকে। অভিনেত্রীর সাজেই জীবনের রঙ্গমঞ্চ থেকে চিরবিদায় নিলেন ঐন্দ্রিলা।
তাঁর প্রিয় পোষ্যের সঙ্গেও শেষ দেখা করানো হয় ঐন্দ্রিলার। এতগুলো বছর যেখানে কাটিয়েছেন সেখানকার মানুষও কান্নায় ভেঙে পড়েন এইদিন। ভেঙে পড়েছে তাঁর পরিবারের মানুষও। গতরাতে পরপর ১০ বার হার্ট অ্যাটাকের পর মাত্র ২৪ বছর বয়সেই চির নিদ্রায় ঘুমিয়ে পড়েন তিনি।
দীর্ঘ ১৯ দিনের লড়াইয়ের প্রতিটা পদে সব্যসাচী চৌধুরী চেষ্টা করেছিলেন ঐন্দ্রিলাকে ফিরিয়ে আনার। অতীতে এমন অনেক মিরাকেল ঘটেছে ঐন্দ্রিলার সঙ্গে। তাই এবারও তেমনই আশা করেছিলেন সব্যসাচী। কিন্তু সেই আশা আর পূর্ণ হলনা। প্রসঙ্গত, ১ লা নভেম্বরের পর এইদিন প্রথম দেখা গেল সব্যসাচীকে।
গাড়ির সামনে বসে তিনি, মাথা নিচু, পেছনে ফুল দিয়ে সাজানো ঐন্দ্রিলার মরদেহ। যেন কিছুই ফিরে পাওয়ার নেই। কঠোর অনুভূতি, কাছের মানুষকে হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণা, সবকিছু একসাথে ফুটে উঠেছে তার চোখে মুখে। সূত্রের খবর, অভিনেত্রীর বাড়ির পর তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে। সেখান থেকে যাওয়া হবে টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে। জানা যাচ্ছে, কেওড়াতলা মহাশ্মশানেই শেষকৃত্য হবে ঐন্দ্রিলার।