Air Force and Army conduct first-ever Arogya Maitri Cube airdrop at 15,000 feet

১৫০০০ ফুট থেকে নেমে মাত্র ৮ মিনিটে তৈরী ICU! বিশ্বের প্রথম চলমান হাসপাতাল বানিয়ে রেকর্ড গড়ল ভারত

নিউজশর্ট ডেস্কঃ হাসপাতাল মানে সকলের সামনে ভেসে ওঠে বিশাল বিল্ডিং, ডাক্তার নার্স থেকে শুরু করে আইসিইউ এর ছবি। কিন্তু এমন অনেক এলাকা আছে যেখানে গাড়ি তো দূর পায়ে হেঁটে কিংবা ট্রেকিং করেও পৌঁছানো মুশকিল। বিশেষ করে যুদ্ধক্ষেত্রে বা পাহাড়ি অঞ্চলে দুর্ঘটনার সময় এমার্জেন্সি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। এবার এই পরিস্থিতিতে ১৫০০০ ফুট উচ্চতায় হাসপাতাল তৈরী করে নজির গড়ল ভারতী সেনা ও ভারতীয় বায়ুসেনা।

এতদিন পর্যন্ত যুদ্ধক্ষেত্রে বা দুর্গম এলাকায় আহত সৈনিকরা আহত হলে তাদের ‘এয়ার লিফ্ট’ করে অর্থাৎ হেলিকপ্টারে করে তুলে আনা হত নিকটবর্তী হাসপাতালে দ্রুত চিকিৎসার জন্য। তবে এক্ষেত্রেও ঝুঁকি ছিল অনেকটাই। কিন্তু এবার আর সেটা থাকবে না। নতুন এই চলমান হাসপাতাল অল্প সময়ের মধ্যেই পৌঁছে যাবে দুর্ঘটনা স্থলে। এর ফলে চিকিৎসার ঝুঁকি যেমন কমবে তেমনি আরও অনেক বেশি প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে। নতুন এই চলমান হাসপাতালের নাম দেওয়া হয়েছে ‘আরোগ্য মৈত্রী হেলথ কিউব’।

মূলত আপদকালীন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই তৈরী করা হয়েছে এই ‘আরোগ্য মৈত্রী হেলথ কিউব’। জানা যাচ্ছে, বায়ুসেনার হারকিউলিস বিমানে করে আকাশে প্রায় ১৫০০০ ফুট উচ্চতা থেকে ড্রপ করে দেওয়া হবে। এরপর সেটা মাটিতে এসে পৌঁছালে ICU, অপারেশন থিয়েটার থেকে শুরু করে রক্ত পরীক্ষার সরঞ্জাম, এক্সরে মেশিন, বিদ্যুৎ তৈরির জন্য জেনারেটর, খাবার ও জল সহ রান্নাঘর সেটআপ করে নেওয়া যাবে।

এই চলমান হাসপাতালে মাথার চোট, বুকে ও স্পাইনাল কর্ডে আঘাত, পুড়ে যাওয়া, হাড় ভাঙা, ব্লিডিং থেকে ছোটখাটো অপারেশন সব কিছুরই সুবিধা পাওয়া যাবে। একবার এয়ারড্রপ করে দেওয়ার পর খুব সহজেই এটা সেটআপ করে নেওয়া যাবে। জানলে অবাক হবেন সেনার কর্মীরা মাত্র ৮ মিনিটেই সমস্ত সরঞ্জাম থেকে আস্ত হাসপাতালে তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আপদকালীন পরিস্থিতিতে এটি যে অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ সে ব্যাপারে কোন অসন্দেহ নেই।

আরও পড়ুনঃ নারী সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে বড় পদক্ষেপ, ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্প চালু করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার

সম্প্রতি এক্স (টুইটার) হ্যান্ডেলে ‘আরোগ্য মৈত্রী হেলথ কিউব’ এর একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। ৪৭ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কিভাবে বেসক্যাম্পে এটি এয়ারড্রপের জন্য তৈরী করা হয়। তারপর বিমানে লোড করে নির্দিষ্ট জায়গায় এয়ারড্রপ করার পর হাসপাতাল তৈরী হয়ে যায়। জানা যাচ্ছে সাধারণত একটি হাসপাতাল তৈরির জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়। শুধু তাই নয় তৈরির কাজ যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ সেই তুলনাই চলমান হাপাতালে চিকিৎসার কাজে অনেকটাই সাহায্য করবে।

Partha Sarathi Manna

Partha Sarathi Manna

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক, রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন থেকে অ্যাডভান্স মাল্টিমিডিয়া ডিগ্রি। পড়াশোনা শেষে বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়াতে কর্মজীবন শুরু ২০২০ সালে। বিনোদন, লাইফস্টাইল, টেকনোলজি থেকে ভ্রমণ সম্পর্কে লিখতে দক্ষ। তবে পড়াশোনা বিষয়ক লেখালিখিতেও বেশ আগ্রহী। কাজের বাইরে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ দেখতে, ঘুরতে যাওয়াই নেশা মেল - [email protected]

X